চিলমারী নদী বন্দর হবে আন্তর্জাতিক রুট
নিজস্ব প্রতিনিধি শুক্রবার রাত ০৮:৪৮, ২২ নভেম্বর, ২০১৯
সাজাদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে চিলমারী নদী বন্দরে মালামাল উঠানোর জন্য একটি বন্দর ছাড়াও যাত্রী উঠানামার জন্যও আলাদা বন্দর হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনকি সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। চিলমারী বন্দরকে আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে চালু করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, রুটটি চালু হয়ে গেলে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দর এলাকা পরির্দশনকালে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে হেলিকপ্টারে করে চিলমারী পৌঁছান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। সেখানে টেরেডেস হোমস ফাউন্ডেশনে জেলার নেতাকর্মী ও সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে বন্দরের ওপর একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
এরপর প্রতিমন্ত্রী চিলমারী নদীবন্দর পরিদর্শনে যান। সেখানে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। বন্দরের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা নিরসনে দিক নির্দেশনা দেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। চিলমারী বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পার্শ্ববতী দেশ ভারত, ভুটান, নেপালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নদীপথ এ বন্দর। ইতোমধ্যে তারা এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ড্রেজিংসহ নানা কাজে আর্থিকভাবে সহযোগিতাও করছে ভারত। এ বন্দরের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সারাদেশের নৌ যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। এতে চিলমারীসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের অথনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।
চিলমারী নদী বন্দরের বাজেট প্রস্তাব একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আশা করছি আগামি ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকার অনুমোদন হলেই এখানে কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রটোকল চুক্তি রয়েছে এছাড়াও ভুটানের সঙ্গে একটি প্রটোকলের আলোচনা চলছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী চিলমারী নদী বন্দরে একটি কাস্টমস অফিসের জন্য এনবিআরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, রাজনীতির পথ হারিয়ে তারা কখনো পিঁয়াজ, কখনো লবণ এবং কখনও পরিবহন নিয়ে গুজবের রাজনীতি করছে। যে দল জনগণকে বিভ্রান্ত করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সুষ্টি করতে চায়, আর যাই হোক তারা দেশে ও দেশের মানুষের ভালো চায় না।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভোলানাথ দে, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব ইল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মহিদুল ইসলাম, নৌ-নিরাপত্তা যুগ্ম পরিচালক সাইফুল ইসলাম, ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাইদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক নিজাম উদ্দিন পাঠান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম, চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউএম রায়হান শাহ্, চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস সরকার প্রমুখ।