চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিত্যদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৃহস্পতিবার রাত ১১:২২, ১৯ আগস্ট, ২০২১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা, পাগলা ও পদ্মা নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্যদিন। ফলে শিবগঞ্জ উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নের ১৭টি ওয়ার্ডের প্রায় ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। আর তাদের সহায়তায় কাজ করছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার আলাতুলি, চরবাগডাঙ্গা, দেবীনগর, নারায়নপুর, তড়পার ঘাট, হড়মা, হাকিমপুরসহ বিভিন্ন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবার খবর পাওয়া গেছে। তবে সদর উপজেলায় কত হাজার পরিবার পানিবন্দী এ মুহুর্তে তা বলা যাচ্ছে না। কারণ দূর্গম এলাকাগুলোতে নৌকা ছাড়া যাতায়াত করা সম্ভব নয়। তবে সদর উপজেলার ৪-৫টি ইউনিয়নে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পরিবার ও গবাদিপশু পানিবন্দী অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন সেখানে বসবাসরত অনেকেই।
এদিকে গত কয়েকদিন থেকে বন্যা দূর্গত এলাকাগুলো পরিদর্শন অব্যাহত রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ শিবগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, জেলার অভিভাবক ডিসি মঞ্জুরুল হাফিজ, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বী, শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংসদ ফেরদৌসী ইসলাম জেসী জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে ভাঙ্গন এলাকা সমূহ পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শণকালীন শিবগঞ্জে পানি বন্দি ৪ শত পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, সাবান, চিনি, সেমাই চিড়াসহ প্রায় ১৩ কেজির একটি করে শুকনা খাবারের প্যাকেট ও ৬ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার মধ্যে রয়েছে পাকা ইউনিয়নের ৯টি, দুর্লভপুর ইউনিয়নের ২টি, উজিরপুর ইউনিয়নের ২টি, ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের ২টি, মনাকষা ইউনিয়নের ১টি এবং ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের ১টি মোট ১৭টি ওয়ার্ড।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল রাব্বী বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার প্রতিটি পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরন অব্যাহত রয়েছে।
তবে আশ্বস্ত করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীর প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিন জানান, পদ্মা নদীতে পানি বিপদ সীমার ৩২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে দুই একদিনের মধ্যেই পদ্মা নদীতে পানি কমতে শুরু করবে।