চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিবির অভিযানে ফেনসিডিল উদ্ধার;আটক ছাত্রলীগ সহসভাপতি
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোমবার সন্ধ্যা ০৬:২৩, ৪ অক্টোবর, ২০২১
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর টোলঘর এলাকা থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. ফয়সাল আহমেদ তমালসহ দুই যুবককে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের আটক করা হলেও দফায় দফায় কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবি ওসি।
আটককৃত যুবকদ্বয় হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার পিটিআই মাস্টারপাড়া মহল্লার ফারুক আহমেদের ছেলে বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ তমাল (৩০) এবং পৌর এলাকার নাখরাজপাড়া মহল্লার রেজাউল করিমের ছেলে আবু মঞ্জুুর জুয়েল। তবে জুয়েলের দলীয় পদের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এ বিষয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবুল উদ্দীন সরদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে একটি বড় মাদকের চালান আসছে। সেই সংবাদের ভিত্তিতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু বা মহানন্দা ব্রিজের টোলঘর এলাকায় ডিবি পুলিশের একটি তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। এ সময় বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালানোর সময় একটি মটরসাইকেলে থাকা দুই যুবকের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকার ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এর আগেও তারা দলীয় পরিচয় দিয়ে বেশ কয়েকবার নিষিদ্ধ মাদক ফেনসিডিল নিয়ে এসে জেলা শহর ও এর বাইরেও বিভিন্নভাবে সরবরাহ করেছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে ফয়সাল আহমেদ তমালসহ আটক অন্যজন ছাত্রলীগের সাথে সর্ম্পকিত কি-না এ বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি ওসি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফ জামান আনন্দের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি মুঠোফোনে জানান, বর্তমানে ফয়সাল আহমেদ তমাল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। ব্যক্তির দায়ভার কেউ নেবে না। দলতো নয়ই। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুর রেজা ইমন মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফয়সাল আহমেদ তমাল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। আমরা যারা দল করি, সংগঠনের জন্য কাজ করি সংগঠনের বাইরে সংগঠন ছাড়া ব্যক্তিগত যে যায় কাজ করুক না কেন সংগঠন তার দায়ভার নেবে না। যদি কেউ খারাপ উদ্দেশ্যে সংগঠনকে ব্যবহার করতে চায় সংগঠন সেটা অনুমতি দেয় না। আর যারা নিষিদ্ধ মাদক সেবনের সাথে ছড়িত কিংবা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত সংগঠন কোন দিনই তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়না,দেবেওনা। কেউ যদি মাদক সেবক বা মাদক ব্যবসায়ী প্রমাণিত হয় তাহলে সংগঠন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।