ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ভোলায় ২২ ঘর বিধ্বস্ত, আহত প্রায় ১৫
নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার বিকেল ০৫:১৮, ১০ নভেম্বর, ২০১৯
কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলাঃঃ ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাসন উপজেলায় জড়ো বাতাসে ২২টি ঘর বিধ্বস্ত ও ১৫ জন আহত হয়েছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে লালমোহনের পশ্চিম চর উমেদ ও লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়ন এবং চরফ্যাসনের ওসমানগঞ্জ ও এওয়াজপুর ইউনিয়নের এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন, পশ্চিম চর উমেদ ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ মাল, তার ছেলে ইমরান ও তিশান। একই উপজেলার লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের চর পেয়ারীমোহন গ্রামের সাজেদা বেগম, তারেক, আরিফ, শরিফ ও মোস্তাফিজ। এদের মধ্যে তারেকের অবস্থা অশংকাজনক বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এদের কয়েকজনকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইব্রাহীম জানান, রাত ৯টার দিকে বাহিরে বিকট আওয়াজ শুনতে পায়। মুহুর্তের মধ্যে ঘর্ণিঝড়ে ওই এলাকার রশিদ মালসহ একই বাড়ির আরও দুইটি ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। এসময় বাড়ির গাছপালাও উপড়ে পরে।
তিনি আরও জানান, একই সময়ে ওই ইউনিয়নের পাশের এলাকা চরফ্যাসনের ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আব্দুল মোতালেব ও তার ছেলে মামুন ও বিল্লালের ঘরগুলোও বিধ্বস্ত হয়েছে এবং পাশের আরেকটি বাড়ির আব্দুল মুনাফের বসত ঘরটিও বিধ্বস্ত হয়। এসময় ওই এলাকার রাস্তার গাছপালাও উপড়ে পরেছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে লালামোহন উপজেলার লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা আনোয়ার রাব্বি জানান, একই সময়ে ইউনিয়নের চর পেয়ারীমোহন গ্রামে ঘুর্ণিঝড়ে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। এসময় ৮ থেকে ১০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়।
এছাড়াও চরফ্যাসন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৭নং ওয়ার্ডের সাতটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় এলাকার রাস্তাঘাটের গাছপালা উপরে পরে বলেও জানান তিনি।
লালামোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানান, আমরা লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের রায়চাঁদ এলাকায় গাছ পড়ে এক জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে বাকীদের খবর আমরা পাইনি।