থেকেঃঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সহকর্মী বান্ধবীর বাড়ীতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক গার্মেন্টসকর্মী। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় অভিযোগে মুল অভিযুক্ত সোহেল সহ নির্যাতিত কিশোরীর বান্ধবী আদুরী বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধর্ষক সোহেল (৪০) পার্শ্ববর্তী পলাশবাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ভগবানপুর গ্রামের কমির মিয়ার ছেলে এবং আদুরী(২৫) শাখাহার ইউনিয়নের চক মানিক পুর গ্রামের লুুৎফর রহমাননের কন্যা এবং জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দিঘিরহাট চক মানিকপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে আদুরী বেগম তার স্বামীসহ ঢাকার নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। একই বাসায় ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে চাকুরী করেন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। একই বাসায় থাকার কারণে আদুরীর সাথে ওই কিশোরীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠ। সম্পর্ক থাকার কারণে গত ২৭ অক্টোবর আদুরী বেগম গাইবান্ধায় তার বাবার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীকে নিয়ে আসেন।
সেখানে কয়েক দিন অবস্থান করায় আদুরীর সম্পর্কের দুলাভাই সোহেলের সাথে ওই কিশোরীর সখত্য হয়। এর এক পর্যায়ে গত শুক্রবার সকালে সোহেল ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বেড়াতে নিয়ে যায়। দিনভর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সোহেলসহ ৪/৫ জন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণকারী ওই কিশোরীকে ধর্ষন করে। পরে ওই রাতে উপজেলার বালুয়াবাজার বাংলালিংক টাওয়ারের সামনে কিশোরীকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। রাত ১টার দিকে স্থানীয়রা ওই কিশোরীর মুখে ঘটনা শুনে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত)আফজাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে উদ্ধারের পর গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।এ ঘটনায় কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে সোহেলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।