ঢাকা (সকাল ৯:৩৪) শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


খুব দ্রুত স্কুল কলেজ খুলতে চাচ্ছিঃপ্রধানমন্ত্রী

জাতীয় ২৫২৬ বার পঠিত

ডেক্স রিপোর্ট ডেক্স রিপোর্ট Clock শনিবার রাত ০৯:০৮, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতোমধ্যে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষকে টিকার আওতায় এনে খুব দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চাচ্ছি। তবে তার আগে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী যাদের বয়স হয়েছে-এমন শিক্ষার্থীদেরও করোনার টিকা দিতে চাই।

শনিবার বিকেলে গণভবনে থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, যখন টিকা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে তখন থেকেই আমরা খোঁজা শুরু করেছিলাম কোথা থেকে সংগ্রহ করা যায় আমরা আগেই আগাম টাকা দিয়ে টিকার বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম। সেজন্যই এত তাড়াতাড়ি টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়েছে। আরও ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনা হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি, আরও তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য। যাতে করে আমাদের যেটা আছে, সেটা প্রথম ডোজ দেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ আমরা শুরু করব, সাথে সাথেই যেন আবার টিকা আমাদের হাতে এসে যায়, একটা মানুষও যাতে এই টিকা থেকে বাদ না যায়, তার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।

যেসব কোম্পানি টিকা তৈরি করেছে, তাদের অনুমতি নিয়ে দেশেই টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ যদি উৎপাদন করতে না পারে, প্রয়োজনে আমাদের দেশ উৎপাদন করতে পারবে, আমি আমাদের বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিকে ইতোমধ্যে বলেছি যে কারা কারা এটা করতে পারবে, তার জন্য প্রস্তুত থাকা এবং এখানে সিড যাতে আনা যায়, তার ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেটাও আমরা দেখছি।

সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা পাকিস্তান আমলে বাংলার বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের পর উন্নয়নের লক্ষ্যে যাত্রার শুরুর কথাও বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা প্রদেশের প্রশাসনকে তিনি (বঙ্গবন্ধু) অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে একটা স্বাধীন দেশের উপযোগী করে একেবারে শূন্য হাতে দেশের পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। ভারত থেকে ফিরে আসা এক কোটি শরণার্থীসহ দেশের অভ্যন্তরে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষকে পুনর্বাসন করেন। শহীদ পরিবার, নির্যাতিত পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা, ঘরবাড়ি হারানো সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ৭ শতাংশ অতিক্রম করে। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশের উল্টো পথে যাত্রা এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর আবার উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।

নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফেরার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর আমি ব্যাপকভাবে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা সফর করি। আমি সে সময়ই প্রতিজ্ঞা করি যদি কোনোদিন আল্লাহ আমাকে সুযোগ দেন দেশ পরিচালনার, তাহলে গ্রামোন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব। গ্রামের মানুষের উন্নয়নে কিছু করব। তখন ৭০-৮০ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করতো। আমার মনে হয়েছিল এদের যদি দারিদ্র্যমুক্ত করতে পারি, তাহলেই বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। ১৯৯৬ সালে জনগণের রায় নিয়ে আমি প্রথমবার সরকার গঠন করে আমার চিন্তা-চেতনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

 




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT