ক্বীনব্রীজের প্রবেশমুখে লোহার বেস্টনি গায়েব ঝুঁকির সম্মুখিন চলাচল
মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, সিলেট বৃহস্পতিবার রাত ০৯:১৬, ২৭ আগস্ট, ২০২০
সিলেটের ঐতিহাসিক এক নিদর্শন ক্বীনব্রীজ । ক্বীনব্রীজের ঐতিহ্য রক্ষা, সংষ্কার, লাইট স্থাপন সহ নানা বিষয়ে বেশ কয়েক বছর থেকেই সড়ক বিভাগ, সিটি কর্পোরেশনে চলছে ফাইল চালাচালি । একপক্ষ বন্ধ করলেও দায় নিতে চাইছেন না অন্য পক্ষ। সম্প্রতি ব্রীজের সংষ্কার কাজ সম্পর্কে রেলওয়ে বিভাগকে জানানো হয়েছে বলে জানান সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ।
সওজ, সিসিক আর রেলওয়ের এই ফাইল চালাচালি আর দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে জনগন প্রশ্ন তুলেন ক্বীন ব্রীজ তুমি কার ? ঝুকিপূর্ণ ক্বীনব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিনই চলছে ভারী যানবাহন। ফলে বাড়ছে ঝুঁকি। সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও সড়ক বিভাগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভারী যানবাহন চলাচল করলেও এ বিষয়ে নিরব রয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
জানা যায়, গত বছর সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বীনব্রীজকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষনা করে এ ব্রীজ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেযর আরিফুল হক চৌধুরী। সাথে সাথে ব্রীজটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করে ব্রীজের দুই মুখে সড়ক বিভাগের একাট সাইনবোর্ডও লাগিয়ে দেয়া হয়। শুধু তাই নয় ব্রিজ দিয়ে যাতে কোন প্রকার যান চলাচল করতে না পারে সে জন্য প্রবেশমুখে লোহার বেস্টনি লাগানো হয় । সে সময় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছিলেন ঐতিহ্যবাহী ক্বীনব্রীজটি শুধুমাত্র পায়ে হাঁটার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। যদিও তখন দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা, ঝালোপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকাবাসীর অব্যাহত দাবীর মুখে ক্বীনব্রীজ দিয়ে রিকসা ও দু‘চাকার যান চলাচলের সুযোগ দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্বীনব্রীজ দিয়ে রিকসা ও দুচাকার যান চলাচলের সুযোগ দেয়া হলেও বর্তমানে ওই ব্রীজ দিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকসা সহ ভারী যানবাহন চলাচল করছে। ব্রীজের মুখের লোহার বেস্টনিও একে একে গায়েব হয়ে গেছে। এতে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে।
দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার এক সমাজকর্মী বলেন- ঐতিহ্যবাহী ব্রীজটি সিলেটের ঐতিহ্যের প্রতীক সৌন্দর্যের প্রতীক। এটিকে রক্ষা এখন সময়ের দাবী। তিনি ব্রীজটি রক্ষায় কর্তৃপক্ষকে এখনই উদ্যোগ গ্রহনের আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে সিলেট সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রীজের উপর দিযে ভারী যান চলাচলের সুযোগ নেই । তবে সিএনজি চার্লিত অটো রিকসা চলাচলের বিষয়টি স্বীকার করেন। ব্রীজের উন্নয়ন কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন- আমরা একটি প্রস্তাব রেল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। তারা বিষযটি দেখছে। সম্প্রতি প্রবেশমুখে লোহার বেস্টনি গায়েব হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সিসিকের উপর দায় চাপিয়ে বলেন- ব্রীজটি আমরা বন্ধ করিনি, সিসিক কর্তৃপক্ষ বন্ধ করেছেন।
এ বিষয়ে তাদের সাথে আলাপ করার পরামর্শ দেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মুঠোফোনে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।