ঢাকা (রাত ৪:৩২) শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

কোরবানির সংগ্রহ করা মাংসের জমজমাট বাজার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের, ক্রেতা নিম্নবিত্তরা!



শহরের রাস্তাঘাট-হাটবাজার ফাঁকা হলেও সান্তাহার রেলগেটে বিকেল হতে জমে উঠেছে কোরবানির সংগ্রহ করা মাংস বিক্রির বাজার। বিক্রেতারা কসাই বা ব্যবসায়ী নয়, সকলেই মৌসুমি। আর ক্রেতারা নিম্নবিত্তের মানুষ। যাদের কোরবানি দেয়ার সামর্থ্য নেই বা বাজার হতে বেশী দামে মাংস কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই তারাই ভীড় জমিয়েছেন।

গরীবের জন্য বরাদ্দকৃত মাংস যারা হাত পেতে নিতে পারেন না, তারাই এই মাংসের ক্রেতা। শনিবার বিকেল হতেই চলছে গরীব-দুঃখির জন্য উৎসর্গকৃত মাংস বেচা-কেনার এক রকম বাজার। শহরের রেলগেটসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে এসব অস্থায়ী মাংস কেনাবেচা হয়। বিক্রেতারা সকাল হতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এই মাংস সংগ্রহ করেছেন। আবার কেউ কেউ একদিনের কসাই হয়ে কাজ করে পেয়েছেন মাংস। অল্প অল্প করে মাংস জমিয়ে ব্যাগ ভরে বেচতে এসেছেন। এরই মাঝে মধ্যস্বত্বভোগীও জুটে গেছে।

বিক্রেতারা চেয়ে আনা মাংস খাওয়ার জন্য কিছু রেখে বাকিটা বিক্রি করে নগদ টাকা পাচ্ছেন। অবশ্য এসব মানুষের বাড়িতে ফ্রিজ নেই। জমিয়ে রাখার ব্যবস্থা না থাকায় তাই বিক্রি করে দিচ্ছেন। রেলগেটে সরেজমিনে দেখা যায়, নিম্নমানের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। আর ভালো মাংসের দাম ২৫০-৩০০ টাকার কম নয়। ওজন না করে কেউ কেউ ব্যাগ সমেত দাম হাঁকছেন। বিক্রেতা হরিজন লাল দাশ জানান, ঈদের সারাদিন কোরবানির সংগ্রহ করা মাংস তিনি বিক্রি করছেন। বাড়িতে ফ্রিজ নেই।

ক্রেতা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ, কোরবানি দেয়ার সামর্থ্য নেই। আবার কোন আত্মীয়-স্বজনও নেই। তাই এই মাংস কিনে কোরবানির মাংস খাওয়ার সাধ মিটবে। বাজারের মাংসের চেয়ে কোরবানির মাংসের স্বাদ অনেক বেশী বলে তিনি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT