কেউ যেন টিকাদান থেকে বাইরে না থাকে:-প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার বিকেল ০৪:৩৪, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে প্রাণঘাতী ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে টিকাদান অভিযান সহজলভ্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে কেউ আবার (করোনাভাইরাসে) সংক্রমিত না হয় এবং কেউই যেন টিকাদান কভারেজের বাইরে না থাকে। সবাইকে কোভিড-১৯-এর টিকা নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার সকালে ২০২১ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
এ সময় সরকারের টিকাদান কার্যক্রমের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রথমে দিয়েছি, এখন শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি, এবং ১২ বছর বয়স পর্যন্ত যারা আছে, তাদের সবাইকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের অনিহার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গতকালই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সারা দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে যেন এই টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকে। একদম তৃণমূল পর্যায়ের মানুষও যেন দ্রুত টিকা নিতে পারে। কারণ, নতুনভাবে যাতে আবার সংক্রমিত না হয়, সে ব্যবস্থা আমাদের এখন থেকেই নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমি আহ্বান জানাব, আমরা এই টিকাদান কার্যক্রমটা একদম তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাচ্ছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমেই দেওয়া হবে বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে দেওয়া হবে। কিন্তু যারা টিকা নেন নাই, এখন তাদের টিকা নিতে হবে।’
পরিবারের শুধু অভিভাবকেরা নন, শিক্ষার্থীরাও যাতে টিকা নেয়, সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এবার করোনার কারণে ১ জানুয়ারি সারা দেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব না হলেও সেদিন থেকেই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ শুরু হবে এবং ভিড় এড়াতে একেক দিন একেক শ্রেণির বই প্রদান করা হবে। এবার চার কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি বই বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন।
এর আগে মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ ১১টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফলাফল গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বক্তব্য দেন।