কুলাউড়ায় ওমর ফারুকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার রাত ১০:৪১, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের কুলাউড়া গ্রাম এলাকার হাজেরা ভিলার তৃতীয় তলায় বসবাস করতেন ওমর ফারুক। পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান ও ছোট ভাইকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পাশাপাশি তিনি শহরের মিলিপ্লাজার একটি কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন। শনিবার আছরের নামাজ শেষে স্ত্রী আঁখি আক্তার ও একমাত্র পুত্রকে রুম থেকে বের করে দরজা লাগিয়ে দেন।
সন্ধ্যা হয়ে যাবার পরেও দরজা না খোলায় তার ছোট ভাই ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে দেখতে পান ফারুক রুমের ফ্যানের হুকের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। এসময় তাদের পিতা আব্দুল মালেককে খবর দেন। স্থানীয় কাউন্সিলর কাওছার আরিফ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে খবর দিলে রাত ৮ টার দিকে ফারুকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ফারুকের স্ত্রী আঁখি আক্তার বলেন, ‘তিনি কিছুটা ঋণগ্রস্থ ছিলেন। এটা নিয়ে প্রায় সময় চিন্তিত থাকতেন। এই চিন্তায় হয়তো তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’
ফারুকের পিতা আব্দুল মালেক বলেন, ‘আছরের নামাজ পড়তে মসজিদে ছিলাম আমি। এসময় ঘরে আমার ছোট ছেলে ও বড় ছেলে এবং তার বউ ছিলো। খবর পেয়ে বাসায় এসে দরজা ভেঙে ফারুকের গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ দেখতে পাই। সে কিছুটা ঋণগ্রস্ত ছিলো। কিন্তু সেই টাকা আমি শোধ করে দিয়েছি। কেন হঠাৎ এমন কাজ করলো কিছুই বুঝতে পারছিনা।’
কুলাউড়া থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।