কিছু এলাকায় পানি কমলেও পঁচন ধরেছে রোপা আমন ধানে
মো.একরামুল ইসলাম,পীরগাছা,রংপুর রবিবার দুপুর ০৩:১৭, ৪ অক্টোবর, ২০২০
রংপুরের পীরগাছার কিছু এলাকায় জমে থাকা পানি কমলেও পঁচন ধরেছে রোপা আমন ধানে ও সবজি ক্ষেতে। উজান থেকে নেমে আসা পানি ও দফায় দফায় ভারী বর্ষণের ফলে তলিয়ে গেছে আমন ধান ও সবজি ক্ষেত। কয়েক সপ্তাহ আমন ধান ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে ডুবে থাকায় গাছের গোড়া নরম হওয়ার ফলে পঁচন ধরছে। ফলে বড় ধরণের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে বলে মনে করেন অত্র এলাকার কৃষকরা। দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে কৃষকের কপালে। আমন ধানে পঁচন ধরার ফলে গো-খাদ্যের অভাব অনুভব করছে সর্বস্তরের মানুষ। কারণ গো-খাদ্যের সিংহভাগ চাহিদা মেটায় ধানের খড়। সেই সাথে সাধারণ মানুষ খড়ের দাম চড়া হওয়ার আশংকা করছে। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে গরু পালনকারীদের। ভবিষ্যতে আরও খড়ের সংকট দেখা দেবে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে উপজেলার একটি ধানের খড়ের আটি ১৫-২০টা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। খড়ের দাম ও চাহিদামতো গো-খাদ্য না থাকায় অনেক কৃষক সস্তা দামে গরু বিক্রি করছেন।
গো-খাদ্য সম্পর্কে আশরাফুল ইসলাম বলেন, খড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ও চাহিদামতো গো-খাদ্য না থাকায় আমার একটি বিদেশি গরু কম দামে বিক্রি করেছি।
খড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামসুজ্জামান বলেন, চাষিরা যেসব ঘাস রোপন করছিল। অতি বৃষ্টির কারণে সেসব ঘাস নষ্ট হওয়ার ফলে খড়ের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার মাছুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মমিন মিয়া বলেন, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে আমার রোপা আমন ধান পানির নিচে দীর্ঘদিন থাকায় পঁচন ধরেছে। এতে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সরকারের কাছে আমরা প্রণোদনার দাবি জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শামিমুর রহমান বলেন, এবারে উপজেলায় ২০ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে টানা বর্ষণের ফলে ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর রোপা আমন ধান ও ১২৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত ক্ষতির লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছি। টানা বর্ষণের ফলে এসব আবাদি ফসল দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকায় পঁচন ধরেছে। আমরা ইতোমধ্যে সরকারের কাছে কৃষকের ক্ষতি-পূরণের চাহিদা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কৃষকদের দেয়া হবে। তবে গত ১৬ বৎসরে এত বৃষ্টিপাত হয়নি বলেও তিনি জানান।