উলিপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা;উৎকোচের বিনিময়ে আসামী বাদ দেয়ার অভিযোগ এসআই’র বিরুদ্ধে
সাজাদুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম সোমবার রাত ১১:১৬, ২৫ জুলাই, ২০২২
কুড়িগ্রামের উলিপুরে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধুকে নির্যাতনের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর মা নিলুফা বেগম বাদি হয়ে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বাদির অভিযোগ, ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার পরও তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) রহস্যজনক কারণে দুই ব্যক্তিকে মামলা থেকে বাদ দিয়েছেন। এর প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগও করেছেন নিলুফা বেগম।
অভিযোগ ও ভূক্তভোগি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই, উপজেলার দলদলিয়া চাপড়ারপাড় কানিপাড়া (রেডক্রোস) এলাকায় যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে হত্যা মামলায় ৬ জনকে আসামী করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী, ২০০৩) এর ১১(ক)/৩০ আইনে বাদী হয়ে নিলুফা বেগম উলিপুর থানায় মামলা করেন। মামলা নং- ১২।
পরে ৫ নং আসামী শহিদুল হক (৩৮); পিতা-মৃত সাহেব আলী ও ৬ নং আসামী মজনু মিয়া (৩২); পিতা- মৃত রফিকুল ইসলাম হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকা সত্বেও মামলা থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়। এজাহার দেখার পর বাদীর খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদ পড়া ওই ২ জন আসামীর নাম এজাহারে না থাকায় প্রতিবাদ করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল বাতেন তাকে থানা থেকে বের করে দেন।
এদিকে মেয়ের মৃত্যুর শোকে শোকাহত থাকায় কৌশলে ৫ ও ৬ নং আসামীদ্বয়কে বাদ দেয়া এজাহারে বাদীর স্বাক্ষর নেন ওই এসআই বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন। অভিযোগে, তদন্ত পূর্বক বাদ পড়া ৫ ও ৬ নং আসমীদ্বয়কে মামলায় আসামী অর্ন্তভূক্ত করে এবং ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পরিবর্তর্নের দাবী জানানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল বাতেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলা রুজু হওয়ার পর ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, বাদির যে এজাহার দিয়েছে সেই এজাহারের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। এরপর দুইজন আসামীর বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।