‘‘উলিপুরের গণহত্যা, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা’’ শিরোনামে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
সাজাদুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম রবিবার ১২:০৭, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১
মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে উলিপুর হানাদার মুক্ত হয়। শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা অডিটোরিয়াম হলরুমে ‘‘উলিপুরের গণহত্যা, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা’’ শিরোনামে আবু হেনা মোস্তফা’র গবেষণামূলক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
উলিপুর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন। এসময় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও কুড়িগ্রাম জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্রাহাম লিংকন।
উলিপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা উম্মে হাবিবা পলির সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীর প্রতীক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার, পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু, উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির, কুড়িগ্রাম শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু।
এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাবিব মাসুদ।
গ্রন্থের লেখক প্রভাষক আবু হেনা মোস্তফা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় ইতিহাস আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সামনে রেখে অনেকেই নানান মুখি চেতনার ব্যবসায় লিপ্ত। মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস এ প্রজন্মের সামনে নতুন করে তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় সঠিক ইতিহাস রচিত হওয়া উচিৎ।
সেই লক্ষকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি দ্বায়বন্ধতা থেকে রচিত হয়েছে ‘উলিপুরের গণহত্যা, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা’ গ্রন্থটি।