ঈমান গ্রহণের ফজিলত!
হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী সোমবার বেলা ১২:৩৯, ৯ নভেম্বর, ২০২০
ঈমান আরবি শব্দ। যার অর্থ হচ্ছে বিশ্বাস করা। পরিভাষায়, মহান আল্লাহ, তাঁর ফিরিশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসুলগণ, তাক্বদিরের ভালো-মন্দ এবং আখিরাতে পুনরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাকে ঈমান বলা হয়।
যিনি উপরোক্ত বিষয় গুলো অন্তরে বিশ্বাস করে মৌখিকভাবে এর স্বীকৃতি দিয়ে বাস্তবে সে মোতাবেক আমল করেন তারাই হলেন ঈমানদার। ঈমানদার ইসলাম গ্রহণের ফলে কি লাভ করবেন তা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে তুলে ধরা হলো-হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল।
যে কোনো বান্দা সন্দেহ না করে ঈমান দিয়ে এই বাক্য দুটির উপর ঈমান আনবে, সে আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, সে জান্নাত থেকে বঞ্চিত হবে না।
হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে খাত্তাবপুত্র! যাও, লোকদের মাঝে ঘোষণা করে দাও যে, কেবলমাত্র ঈমানদার লোকেরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, অতপর আমি বের হলাম এবং ঘোষণা করলাম- শুনে রাখো, ঈমানদার ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের উচিত, আল্লাহ এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান গ্রহণ করা। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়ার তৌফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।