ঢাকা (দুপুর ১২:৪২) শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News নতুন সুযোগে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই : মির্জা ফখরুল Meghna News হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৮-এর ঘরে Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে ককটেল বিষ্ফোরণে সুরুজ আহত, পলাতক পরিবার Meghna News ফিফা র‌্যাংকিংয়ে লম্বা লাফ সাফজয়ী নারীদের Meghna News বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মানুষের ঢল Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জের পার্কে মিলল নিখোঁজ মাদ্রাসা শিশু শিক্ষার্থীরা Meghna News পিটিআইয়ের সঙ্গে সংলাপে বসছে সরকার, থামবে কি রাজনৈতিক অস্থিরতা? Meghna News সীমান্ত এলাকায় আরাকান আর্মি, কী প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে? Meghna News লোহাগড়াস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন Meghna News বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধ চায় আইএমএফ

Join Bangladesh Navy


আ. লীগের লগি-বৈঠা তাণ্ডবের দেড় যুগ আজ

জাতীয় ২৪৫ বার পঠিত
28-October-2006
ফাইল ছবি

মেঘনা নিউজ ডেস্ক মেঘনা নিউজ ডেস্ক Clock সোমবার সকাল ১১:৪৫, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪

আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠার তাণ্ডবের ১৮ বছর আজ। ২০০৬ সালের এই দিনে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে লগি বৈঠা দিয়ে সাপ মারার মতো পিটিয়ে জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দলটির নেতাকর্মীরা। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর লাশের ওপর নৃত্য করে তারা- যা সভ্য দুনিয়ায় অকল্পনীয়। স্বাভাবিক কারণেই তখন ওই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছিল দেশে-বিদেশে।

ওই দিনের ঘটনায় মামলা হলেও তা এগোয়নি ১৮ বছরে। বিএনপি-জামায়াত নেতাদের দাবি, একদলীয় শাসন কায়েমের গভীর ষড়যন্ত্র ছিলো সেদিনের লগি-বৈঠা আন্দোলন।

জানা যায়, ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াতসহ চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদ শেষে ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সারা দেশে লগি-বৈঠা আন্দোলনের ডাক দেয়। খোদ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের সমাবেশে লগি-বৈঠা নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। সংঘর্ষ পাল্টা-সংঘর্ষের এক পর্যায়ে, ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায় লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা এবং লাশের উপর নৃত্যের ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে দলটি। নিন্দার ঝড় উঠে দেশে-বিদেশে। ওই ঘটনায় মামলা হলেও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মামলা প্রত্যাহার হয়। রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সব ঘটনায় দোষীদের বিচার হওয়া উচিত।

২০০৬ সালের অক্টোবর মাস। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার তখন বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিতে না পারেন সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট তখন তুমুল আন্দোলন করছে।

এমন প্রেক্ষাপটে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন-বায়তুল মোকাররম এলাকায় জামায়াতে ইসলামী এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সেদিন ঢাকার রাস্তায় প্রকাশ্যে অস্ত্র তুলে গুলি এবং মানুষ পিটিয়ে মারার ঘটনা গভীর আলোড়ন তৈরি করেছিল। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় প্রকাশ্যে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। বিএনপি-জামায়াতের দাবি, একদলীয় শাসনের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সেদিন রাজপথে তাণ্ডব চালায় আওয়ামী লীগ।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, এটি ছিল স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের উত্থানের প্রথম মহড়া। সেদিনও বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল। তবে সরকারের যে ভূমিকা পালন করা দরকার ছিল তা তারা করেনি।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সেদিন জামায়াত-বিএনপির মধ্যে সমন্বয় থাকলে দিনভর তাণ্ডব চালাতে পারতো না আওয়ামী লীগ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী—এই দুটি মিলেই একটা বিরাট শক্তি। এরা একসঙ্গে থাকলে বাকি সব দলকেও পরাজিত করা যায়। সেই ধরনের পরিকল্পনা ছিল না, সমন্বয়কও ছিল না। আর সেই সুযোগেই এই পরিস্থিতি হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২৮ অক্টোবরে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর রাজনীতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন তারা।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT