আবারও ভেঙে পড়েছে বড়লেখার আদালতের হাজতখানার নিরাপত্তা প্রাচীর
মোঃইবাদুর রহমান জাকির শনিবার রাত ০২:৩৮, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (চৌকি আদালত) আদালতের হাজতখানার পশ্চিম দিকের প্রায় ৭০ ফুট নিরাপত্তা প্রাচীর আবারও ভেঙে পড়েছে।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে চাপা পড়েছে মামলার জব্দকৃত আলামত দুটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ মে ভোরে আদালতের হাজতখানার উত্তর দিকের প্রায় ৩০ ফুট নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে পড়ে। এতে অরক্ষিত হয়ে পড়ে হাজতখানা। পরে থানা পুলিশের উদ্যোগে ওই অংশে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়।
আদালত পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে আদালতের হাজতখানার পশ্চিম দিকের প্রায় ৭০ ফুট নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় আদালত এলাকায় রাখা মামলার আলামত দুটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার ১টি চাপা পড়ে সম্পূর্ণ ও একটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তবে এসময় প্রাচীরের পাশে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে পড়ায় বিচারাধীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার জব্দকৃত আলামত অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (সিএসআই) মো. মুজিবুর রহমান শুক্রবার রাতে বড়লেখা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন (নম্বর-১০৮১)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (সিএসআই) মো. মুজিবুর রহমান শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় বলেন, ‘নীরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে পড়ায় মামলার সংরক্ষিত আলামত রক্ষণাবেক্ষণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। ভবন ও দেয়াল অনেক পুরোনো। ঝুঁকি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সরকার উপজেলা আদালত পরিচালনার জন্য জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা বড়লেখায় (আদালত) ভবন নির্মাণ করে। নব্বইয়ের দশকে এক সরকারি আদেশে উপজেলা আদালত প্রত্যাহার করা হয়। ২০০৪ সালের শেষদিকে সরকার দেশের সীমান্তবর্তী ৯টি উপজেলায় চৌকি আদালত চালুর সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর দীর্ঘদিন থেকে অরক্ষিত থাকা ভবনে বড়লেখা আদালতের কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়। ইতোপূর্বে জরাজীর্ণ এই ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা ভেঙে অনেকের ওপর পড়েছে। এমনকি বিচারকের এজলাসে বিচারকাজ চলাকালীন সময়ে ছাদের পলেস্তারা-খোয়া ভেঙে আইনজীবীদের মাথায় পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
ভবনটির দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানেও রয়েছে ফাটল। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে মূল্যবান নথিপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে। যে কোনো সময় ভবনের দেয়াল ও ছাদ ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।