আজ দেশের প্রথম হানাদার মুক্ত দিবস
মেঘনা নিউজ ডেস্ক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৬:০৬, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯
মোঃ মোনিরুজ্জামান, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ আজ ১৪ নভেম্বর
(বৃহস্পতিবার ) ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হয়। দেশের প্রথম
হানাদার মুক্ত উপজেলা এটি। ১৯৭১ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে
ভূরুঙ্গামারী আক্রমনের পরিকল্পনা করার পর সেক্টর কমান্ডার এমকে বাশার,
মিত্র বাহিনীর অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জোসি সহ উর্ধ্বতন
সামরিক কর্মকর্তাগণ সাহেবগঞ্জ সাব- সেক্টরে আসেন।
এসময় ভারতীয় ষষ্ঠ মাউন্টেন ডিভিশনের একটি ব্রিগেড এবং বিএসএফের
কয়েকটি কোম্পানী সার্বিক সামরিক সজ্জায় সজ্জিত হয়ে
ভূরুঙ্গামারীর দক্ষিণ দিক খোলা রেখে পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর দিক থেকে
একযোগে আক্রমনের সিন্ধান্ত নেয়।পরিকল্পনামোতাবেক ১৩ নভেম্বর রাতে
মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ নেতৃত্বে প্রবল আক্রমণ শুরু হয়।
অবশ্য এর একদিন আগে থেকেই মিত্র বাহিনী কামান ও মর্টারের গোলা
বর্ষণ সহ মিত্র বাহিনীর বিমান শত্রুদের উপর গোলা নিক্ষেপ শুরু করে।
১৪ নভেম্বর ভোর হবার আগেই পাকবাহিনীর গোলা বর্ষণ বন্ধ হয়ে যায় এবং
ঐদিন ভোরে মুক্তিবাহিনী জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে সিও অফিসের
(বর্তমান উপজেলা পরিষদ) সামনে চলে আসে এবং বাংলাদেশের মানচিত্র
খচিত পতাকা উত্তোলন করে। এখান থেকে ৩০/৪০ জন পাক সেনা আটক
করা হয় এবং তালা বন্ধ একটি কক্ষ থেকে ১৬ জন বীরঙ্গনাকে উদ্ধার করা হয়।
এদের মধ্যে ৫/৬ জন বীরঙ্গনা গর্ভবতী ছিলেন।
শুধু তাই নয়, এসময় বাংকার থেকে পাক ক্যাপ্টেন আতাউল্লা খান এবং বুকে জড়ানো অবস্থায়
একজন (বীরঙ্গনা) মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে প্রতি
বছর প্রেসক্লাব ও অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন
কর্মসুচি পালন করে থাকে।