আজ থেকে চলবে যানবাহন,খুলছে দোকান-শপিংমল
নিজস্ব প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার রাত ০২:৪৩, ১৫ জুলাই, ২০২১
বুধবার (১৪ জুলাই) চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ২১০ জন আর শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৮৩ জন। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কঠোর লকডাউন শিথিল করে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে সারাদেশে যানবাহন ও দোকানপাট-শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। কোনো ধরনের বিধিনিষেধ ছাড়াই যানবাহন ও দোকানপাট চলবে।
করোনা সংক্রমণ কমাতে কয়েকধাপে কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয় যা গতকাল বুধবার পর্যন্ত ছিল। কিন্তু ঈদের কারণে কঠোর লকডাউনের মেয়াদ না বাড়িয়ে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। তবে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ফের সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হবে। এতে আগের মতোই গণপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
পরিবহন ও শপিংমল ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবহন ও শপিংমল-দোকানপাটে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজে নিয়োজিত। ঈদের আগ মুহূর্তে কয়েকদিন যানবাহন ও দোকানপাট খোলার অনুমতি দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরছে পরিবহন শ্রমিকদের। শপিংমল ও পরিবহনখাতে ব্যবসার প্রধান সময় ঈদের আগে ও পরে। এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিল হওয়ায় কর্মহীনরা কিছু উপার্জন করতে পারবেন।
রোজার ঈদের সময় লকডাউন জারি করেও গ্রামমুখী মানুষের ঢল থামানো যায়নি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, ফেরিতে গাদাগাদি করে কোটি মানুষ শহর ছাড়েন। এতে করোনা ঝুঁকি আরও বেড়েছিল। এবার গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি এসেছে।
পরিবহন চলাচলের অনুমতি দিলেও করোনা সংক্রমণ কমাতে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। একইসঙ্গে ঈদ পরবর্তী ১৪ দিন গণপরিবহণসহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধেরও নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
কঠোর লকডাউন শিথিল করে মন্ত্রিপরিষদ থেকে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদ উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনিত কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এসময়ে সর্বাবস্থায় জনসাধারণকে সতর্কাবস্থায় থাকা এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
এছাড়া করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।