সহপাঠীর মৃত্যুর প্রতিবাদে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার রাত ০২:৪১, ৩ এপ্রিল, ২০২২
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রী মাইশা মমতাজ মিম কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মাইশা হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
গতকাল শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফটকে অবস্থান করেন। তবে তাদেরকে মূল সড়ক পর্যন্ত যেতে দেয়নি পুলিশ। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্য দাবি পূরণ না হলে রবিবার বেলা ২টার পর থেকে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, মাইশা মমতাজ মিমকে সড়ক ব্যবস্থাপনা এবং অপরিকল্পিত যানবাহনের জন্য হত্যার শিকার হতে হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের তালিকায় আরও একটি নাম যুক্ত হলো। এর শেষ এখনই হওয়া জরুরি।
শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নিহতের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান নিশ্চিত করতে হবে। বেপরোয়া ওভারটেক প্রতিরোধে রাস্তার সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। হাফ পাসের বিষয়ে সব বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা গণপরিবহন দিতে হবে। নারীদের জন্য আলাদা বাস দিতে হবে। প্রস্তাবিত বাস রুট র্যাশনালাইজেশন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাজধানীর খিলক্ষেত ফ্লাইওভারে ৩০০ ফিট নামার পথে পড়ে থাকা মাইশাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার পাশে স্কুটিও পড়ে ছিল।
এ বিষয়ে ওসি সাব্বির বলেন, কল পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইশাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে মাইশাকে সেখান থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটলো এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, মাইশা তার ব্যক্তিগত স্কুটিতে ছিলেন। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে একটি কাভার্ডভ্যানটি মিমের খুব কাছ দিয়ে যায়। আমরা ধারণা করছি কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মিম পড়ে যান। চালককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।