মাইকেল জ্যাকসনের প্রেমে পড়েছিলেন পুতুল
মেঘনা নিউজ ডেস্ক শনিবার সন্ধ্যা ০৬:৪৪, ২২ জুলাই, ২০১৭
সবার জীবনে ঘটে যাওয়া প্রথম সবকিছুই বিশেষ। সংগীতশিল্পী পুতুল প্রথম পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন গান গেয়েই। সম্প্রতি এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপে জীবনে ঘটে যাওয়া প্রথম উল্লেখযোগ্য ঘটনাসহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন পুতুল।
প্রথম স্কুল : আশুগঞ্জ সার কারখানা স্কুল। আমার বাবা সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। সেই সুবাদে আমরা আশুগঞ্জে অনেকদিন ছিলাম।
প্রথম শিক্ষক : আমার মেজো বোন মেহবুবা সুলতানা রুমা। আমি স্টুডেন্ট হিসেবে খুব খারাপ ছিলাম না। তবে অঙ্কে খুব দুর্বল ছিলাম। এজন্য আমার বোনের কাছ থেকে অনেক মার খেতে হয়েছে।
প্রথম রেকর্ড করা মৌলিক গান : ২০০৮ সালে আমার প্রথম গানের অ্যালবাম ‘সন্ধ্যা বাড়ির বারান্দায়’ প্রকাশিত হয়। সেই অ্যালবামের ‘বন্ধু’ গানটি প্রথম রেকর্ড করেছিলাম। রেকর্ডিং শেষ করে অন্যরকম একটা ভালোলাগার ব্যাপার মনে তৈরি হয়েছিল। আমার রেকর্ড করতে বেশি সময়ও লাগেনি। সম্ভবত দুবার টেক দিতে হয়েছিল।
প্রথম পারিশ্রমিক : আমার প্রথম পারিশ্রমিক ছিল তিন হাজার টাকা। ফেনী শহরের একটি সরকারি অনুষ্ঠানে গান গেয়ে এই টাকা পেয়েছিলাম। তখন আমি কলেজে পড়ি। আমার তখন ধারণাই ছিল না যে গান গাইলে টাকা পাওয়া যায়। আমি খুব বিস্মিত হয়েছিলাম। টাকাটা পেয়ে বাবাকে দিয়েছি। এখন পর্যন্ত গান গেয়ে আমি যত টাকা পেয়েছি কিংবা পাই সবটাই বাবাকে দেই। আবার আমার যখন যা প্রয়োজন তখন বাবার কাছ থেকেই নেই।
প্রথম লেখা বই : কবিতার বই ছিল। বইয়ের নাম ছিল ‘পুতুল কাব্য ও উপক্রমনিকা’। ছোটবেলা থেকে গান গাওয়ার পাশাপাশি আমি লেখালেখি করি। ছোটবেলায় যদি আমাকে কেউ জিজ্ঞাসা করত বড় হয়ে কী হতে চাও? উত্তরে আমি বলতাম, ‘লিখতে ও গান গাইতে চাই।’
প্রথম প্রেম : আমার জীবনে প্রথম প্রেম নেই। কারণ বাস্তবে এখন পর্যন্ত আমি কারো প্রেমে পড়িনি। গায়ক ম্যাইকেল জ্যাকসনের প্রেমে পড়েছিলাম। তাঁর প্রত্যেকটা গানই আমার ভীষণ প্রিয়। শুনলে অবাক হবেন যে তাঁর মৃত্যুর পর আমি ভীষণ কান্নাকাটি করেছি।
প্রথম শাড়ি পরা : স্কুলজীবনে পড়ার সময় আমি নাচও করতাম। নাচের জন্য জীবনের প্রথম শাড়ি পরেছিলাম। এখনো স্মৃতি আমার কাছে রঙিন।