ভোলায় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, খবর শুনে মায়ের মৃত্যু,ধর্ষক আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি শুক্রবার রাত ০৯:৫৭, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯
ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিনে ৫ শ্রেণীর ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা,খবর শুনে মায়ের মৃত্যু। এই ঘটনায় দুলাল নামের এক জনকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ।
ভিকটিম ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দ জনৈক ব্যাক্তির মেয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে লালমোহন থানা এলাকার দুলাল নামের এক ট্রাক চালক কর্তৃক ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে।
ভিকটিমের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, তাদের ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে প্রতিবেশী ইয়ানুর বেগমের সহায়তায় একটি ঘরে আটকে রেখে দুলাল নামের এক লম্পট দিনের পর পর দিন ধর্ষনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ভিকটিমের পরিবার একাধিকবার চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতাদের কাছে বিচার চাইলে তারা কোন প্রকার প্রতিকার না করে উল্টো আমাদের চুপ থাকার জন্য ভয় দেখান। ভিকটিমের পরিবার ভয়ে চুপ থাকলেও তাদের শিশু মেয়ের শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় গত ২৭ নভেম্বর ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরিক্ষা করে বলেন ভিকটিম ছাত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এমন খবর শুনে ভিকটিম ছাত্রীর মা নাজমা বেগম(৪০) হার্ট এ্যটাক করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন, এবং ২৮ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এদিকে ধর্ষক দুলালকে বৃহস্পতিবার রাতে লালামোহন থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। পলাতক রয়েছেন ধর্ষণে সহায়তাকারী নারী ইয়ানুর
এই ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার(লালমোহন সার্কেল) মোঃ রাসেলুর রহমান বলেন, বোরহাউদ্দিন থানার ওসি মু.এনামুল হকের সাথে কথা হয়েছে, দ্রুত ধর্ষক কে গ্রেপ্তারের জন্য বলেছি।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মীর খায়রুল কবির জানান,”ধর্ষকের সহযোগী মহিলা ইয়ানুর বেগম পালিয়ে গেলেও তাৎক্ষনিকভাবে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ধর্ষক দুলালকে লালমোহন থানা পুলিশ আটক করে।ধর্ষক দুলালের বাড়ি লালমোহনে হওয়ায় এখন লালমোহন থানার আওতায়া আছে। ঘটনাস্থল বোরহানউদ্দিন হওয়ায় আমরা ধর্ষককে বোরহাউদ্দিন থানায় হস্তান্তন করবো।”
বোরহাউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মু.এনামুল হক বলেন, “ধর্ষক দুলাল এখন থানা হেফাজতে রয়েছে। ধর্ষকের সহযোগী ইয়ানুর বেগমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”