বেনাপোল সাদিপুর সীমান্তে থামছে না মাদক পাচার
মোঃ কামরুজ্জামান মঙ্গলবার ১২:৫১, ১৬ জুন, ২০২০
মোরশেদ আলম, যশোর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর সীমান্ত দিয়ে সীমান্ত রক্ষী উপেক্ষা করে দেশে মাদক দ্রব্য প্রবেশ করার অভিযোগ উঠেছে। এ পথে রাতের আঁধারে গাজা আর ফেনসিডিলের চালান প্রতিদিন পার হচ্ছে বলে একাধিক সুত্র জানায়। নব্বই দশকে যেমন ভারত থেকে ফেনিসিডল, গাজা, হেরোইন আসত এ পথে তেমনি সাম্প্রতিক সময়ে আসছে ফেনসিডিল ও গাজা। মাঝে মধ্যে দুই একটি চালান বিজিবির সদস্যরা আটক করলেও বড় অংশ চলে যাচ্ছে দেশের অভ্যন্তরে। সুত্র জানায় যে সময় এই সীমান্তে ভারত কাটাতারের ব্যবহার করে নাই, সে সময় ভারত থেকে সহজ ভাবে আসত মাদক দ্রব্য। আবার ও সেই ২০ -২২ বছর পিছনে চলে যাচ্ছে দেশ। ভারত এর মাদক ব্যাবসায়িরা অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে রাত্রে মাদকের চালান কাঁটাতারের বেড়ার কাছে বাংলাদেশের চোরাচালানিদের কাছে দেয় আর চোরাচালানিরা সে গুলো সু-কৌশলে এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠায়। সুত্রটি দাবি করে বলে এর সাথে জড়িত এক শ্রেনীর ঘাট মালিক নামে অসাধু লোক; এবং সীমান্তে নিয়োজিত এক শ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী। সাদিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা বর্তমান সময়ে এ পথে ফেনিসিডল আসার গুঞ্জনটা একটু বেশী পাচ্ছি। এ পথে ভারতের জয়ন্তীপুর ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ফেনসিডিলের চালান আসছে। এসব ফেনসিডিল এই গ্রামের অনেক মানুষ ও খুচরা বিক্রি করে থাকে। আর বড় বড় চালান চলে যায় দেশের বিভিন্ন জেলায়। সম্প্রতি এই পথে আসা ফেনসিডিল ইজিবাইক সহ বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ বড় আঁচড়া থেকে আটক হয়। আর গ্রেফতার হয় মানিক ও রাকিব নামে দুইজন । এবং সোহাগ নামে একজন পলাতক আসামি হয়। এরপর গত ১১ তারিখে মাদক বিরোধী আন্দোলনের প্রধান সুলতান আহম্দে বাবু ৯৪ বোতল ফেনসিডিল একজন মাদক ব্যবসায়ির নিকট থেকে কেড়ে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর গত ১৪ জুন ৬ কেজি গাজা সহ আটক হয় ওই গ্রামের সাইদ এর ছেলে শরিফুল। এবং এর সাথে জড়িত আলামিন নামে একজন পলাতক রয়েছে। সাদিপুর সীমান্তের আলামিন নামে ও্ই যুবক মাদক ব্যবসার বর্তমান সম্রাট বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। সে প্রতিদিন ভারত থেকে এ পথে ফেনিসিডিল ও গাজার চালান নিয়ে আসে বড় বড় গডফাদারদের সহযোগিতায়। বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার ওহাব বলেন আমরা সাদিপুর সীমান্ত থেকে কয়েক দফায় ফেনসিডিল উদ্ধার করেছি।এই গ্রামের নারী মাদক ব্যবসায়ি সুন্দরী ও তার ছেলেকে ও আমরা ফেনসিডিল সহ আটক করে চালান দিয়েছি। গতকাল যে গাজা উদ্ধার করেছি সেই গাজার মালিক আলআমিন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, মাদকের ব্যাপারে সীমান্তে বিজিবি সতর্কবস্তায় রয়েছে।