বিশ্ব যেখানে সচেতন সেখানে কিছু অসচেতন মানুষ বজায় রাখছেনা সামাজিক দুরত্বতা
মোঃ কামরুজ্জামান বুধবার বিকেল ০৪:২৮, ২৯ এপ্রিল, ২০২০
আজহারুল ইসলাম সাদী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব করোনা ভাইরাস আতঙ্কে আতঙ্কিত। করোনা ভাইরাসের মহামারীতে আক্রান্ত ৩০ লক্ষাধীক মানুষ, আক্রান্তে মৃত্যু হয়েছে সোয়া ৩ লক্ষাধিক মানুষের! ভাইরাসটি প্রতিরোধে যে সকল বিষয়ে সচেতন হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা তার মধ্যে প্রথমত যার মাঝে এলক্ষণ বিদ্যমান তার থেকে অন্যকে থাকতে হবে ৩ ফুট দুরত্বে। করোনা ভাইরাস এর লক্ষণ সমূহ যেমন হঠাৎ সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা গলা ব্যথা হওয়া। এসব উপসর্গ যার মধ্যে বিদ্যমান হবে তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা করতে বলা হয়েছে। তার পর সঙ্গে সঙ্গে তাকে পরিবারের সকলের থেকে তাকে আলাদা এবং একটি নিদিষ্ট ঘরে একাকিনী থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তার সংষ্পর্শে কাউকে না যেতে বলা হয়েছে। তার নমুনা পরিক্ষার পর যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তবে ভালো, নয়তো যদি তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে তাহলে বুঝতে হবে সে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এসময় তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে হবে। তখন সে হয়তো স্বাভাবিক ভাবে সুস্থ্য হয়ে উঠবে। বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাস এর কারণে এক জেলার মানুষ অন্য জেলায় প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রশাসনিকভাবে কঠর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবুও যারা আশা যাওয়া করছে তাদেরকে নিজ বাসা বাড়িতে ১৪ দিন একাকিত্ব থাকবেন বলে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে নিজ ঘর হতে বের না হতে বলা হয়েছে। তথাপি যদিও কেউ অতি প্রয়োজনে বের হন তবে সকলের থেকে তাকে ৩ ফুট সামাজিক দুরত্বতা বজায় রেখে চলতে বলা হয়েছে। প্রতিটি মানুষকে বাধ্যতামূলক সার্বক্ষণিক মুখে মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতা মুলক করা হয়েছে। যে বা যারা এই আইনকে অমান্য করছে তাদেরকে জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে। বিশ্ব তথা সারাদেশ মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। যে কারণে বহিবিশ্বের মানুষকে সচেতনতায় ভাইরাসটি অনেকাংশে প্রতিরোধ হচ্ছে বলে প্রতিয়মান। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সেচ্ছাবেসী সংগঠন মিডিয়া কর্মিরা ব্যাপকভাবে রিস্কের মধ্যে সবাইকে সামাজিক দুরত্বা বজায় রাখতে দিন রাত পরিশ্রমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে অনান্য পেশাজীবিরা কিছুটা সাচ্ছন্দে থাকলে ও দুর্বিসহ জীবন যাপন করে চলেছেন বেতন হীন কিছু মিডিয়া কর্মিরা তারা, তাদের দাবী সরকারি পক্ষ হতে তাদের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রনোদনার দাবী। তবে কিছু কিছু মানুষ বিষয় টি আমলে না নিয়ে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার পরেও দায়িত্বহীনতায় লকডাউন না মেনে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে ব্যাপক হুমকির মধ্যে পড়েছে পরিবেশ। গুটিকয়েক অসচেতন মানুষের জন্য গোটা জাতিক মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে রুপ ধারণ করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। কিছু ছবিতে দেখা যায় যেখানে মানুষ নিদিষ্ট চক্রাকারের বিত্তে থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখছে না? সেখানে কুকুরগুলি সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখছে।