নওগাঁ পৌরসভার বোয়ালিয়া সড়কের কাজে নিম্নমানের ইট
নিজস্ব প্রতিনিধি বুধবার বেলা ১২:৪৬, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ পৌরসভার বোয়ালিয়ার কৈগাড়ী থেকে আমকালি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তায় নিম্নমানের ইটের ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। উল্টো ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের পুলিশ দিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
নওগাঁ পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে গুরুত্বপূর্ন নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে শহরের বাইপাস নওগাঁ-বগুড়া সড়কের পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের বোয়ালিয়ার বটতলি মোড় থেকে আমকালি মোড় পর্যন্ত দুরুত্ব প্রায় ৩ হাজার ১৫ মিটার। এরমধ্যে কৈগাড়ী থেকে ১ হাজার ৫৪৫ মিটার থেকে ৩ হাজার ১৫ মিটার আমকালি মোড় পর্যন্ত অর্থ্যাৎ ১ হাজার ৪৩৫ মিটার (প্রায় দেড় কিলোমিটর) রাস্তা বিএমডব্লিউ ও কার্পেটিং করা হচ্ছে। যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে- ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮৪ টাকা ৪৮ পয়সা। ৫ শতাংশ কমে- ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার ২শ টাকা। কাজটি করছেন- নওগাঁ শহরের মেসার্স জীম এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
বোয়ালিয়া গ্রামটি পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত। এ এলাকার বাসীন্দারা পৌর সুযোগ সুবিধা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত।এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে চলাচলের দুর্ভোগ পোহাতে হতো একাবাসীদের। রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং এলাকাবাসীদের ছিল দীর্ঘদিনের দাবী। কিন্তু নিম্নমানের এ কাজে রাস্তা বেশিদিন টেকশই হবে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বোয়ালিয়া মোল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ মাস্টারের ছেলে আক্তার ফিরোজ রানা বলেন, গাইড ওয়াল নির্মানে ৬ গাড়ি দুই নম্বর ইট নিয়ে আসা হয়। আমি ঠিকাদারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে ভুল হয়েছে এবং পরে আর এমন হবে না বলে জানানো হয়। সিডিউল দেখতে চাইলেও তারা দেখাবেন না। কাজে বাঁধা সৃষ্টি করায় পরে ঠিকাদার পুলিশ নিয়ে আসে এবং ধরে নিয়ে যাওয়ার ভয়ভীতি দেখানো হয়। তবে রাস্তার কাজ খুবই নিম্নমানের হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয় আক্তারুল, সাজেদুল ইসলাম ও আজাহারুল আলম বলেন, এ এলাকা পৌরসভা হলেও আমরা পৌর সুযোগ সুবিধা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। রাস্তায় ইটের খোয়া বিছানোর পর ঠিকমতো পানি দেয়া ও রুলার করা হচ্ছেনা। তিন নম্বর ইট ও রাবিশ ব্যবহার করা হচ্ছে। বার বার বলার পরও কোন ভ্রুক্ষেপ করা হচ্ছেনা। গুনগত মান অত্যান্ত খারাপ।
ঠিকাদার মিঠু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,” কাজের কোন সমস্যা নাই। আমরা সিডিউল মোতাবেক কাজ করছি।প্রকৌশলীরা নিয়মিত কাজ তদারকি করছেন।”
নওগাঁ পৌরসভা সহকারি প্রকৌশলী নিজামুল হক বলেন,” কাজ সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। কোন সমস্যা আছে বলে মনে হচ্ছেনা। তারপরও ঠিকাদারকে সর্তক হয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে।”