গাইবান্ধায় পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২
আসাদুজ্জামান খন্দকার শনিবার সকাল ১১:৪৭, ২৪ জুন, ২০২৩
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে শ্রী সুবল চন্দ্র মোদক (৫০) কে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এই মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি প্রদীপ কুমার মোদক (২৪) ও মৃদুল চন্দ্র মোদক (২৬) নামের দুই সহোদর ভাইকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে র্যানব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি প্রদীপ কুমার মোদক (২৪) ও মৃদুল চন্দ্র মোদক (২৬) গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর আলালের তারী গ্রামের সুনীল চন্দ্র মোদকের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিকটিম সুবল চন্দ্র মোদকের পরিবারের সঙ্গে আসামিদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ঝগড়া-বিবাদ ও মারামারি চলে আসছিল। এরই জের ধরে ভিকটিমদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হত্যা করার হুমকি দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে গত ৩ মে দুপুরের দিকে আসামির বসতবাড়ির সামনে দিয়ে স্থানীয় দাড়িয়াপুর বাজারে যাওয়ার সময় আসামিরা সুবল চন্দ্র মোদককে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি-ছোরা-দা-রড, লোহার সাবল এবং রামদা ইত্যাদি দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করে গুরুতর যখম করার পর পালিয়ে যায়। তৎক্ষনাৎ ভিকটিমের আত্নীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর রক্তাক্ত যখম প্রাপ্ত সুবল চন্দ্র মোদককে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরবর্তীতে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে মিন্টু চন্দ্র মোদক বাদী হয়ে গাইবান্ধা জেলার সদর থানায় মামলা একটি হত্যা মামলা দায়েরকরেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৩ জুন) র্যা ব-১৩, গাইবান্ধা ও র্যা ব-১২, সিপিসি-৩, বগুড়া ক্যাম্পের একটি যৌথ অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ভিকটিম সুবল চন্দ্র মোদক হত্যা মামলার পলাতক আসামি প্রদীপ কুমার মোদক ও মৃদুল চন্দ্র মোদককে গ্রেফতার করা হয়।
মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদেরকে আত্নগোপন করে বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করত। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। ধৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।