ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সোহেল বাঁচতে চায়
এস এম সাখাওয়াত বৃহস্পতিবার সকাল ০৮:৫৬, ২ মে, ২০২৪
ফুটফুটে শিশুটির বয়স মাত্র ১২ বছর। এখনো দুনিয়ার কিছুই বোঝার বয়স হয়নি তার। যে বয়সে পুরো পরিবার মাতিয়ে রাখার কথা সে বয়সেই বিছানায় কাতরাচ্ছে মো. সোহেল রানা। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তাকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম চালাতে হচ্ছে। কারণ ছোট্ট সোহেল রানার কচি শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণব্যাধি ক্যান্সার।
শিশু সোহেল রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রেহাইচর গ্রামের ট্রাক ড্রাইভার মো. শামিমের ছেলে। শিশুর বাবা শামিম জানান, গত এক বছর আগে হঠাৎ প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হয় সোহেল রানা। এরপর তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। তবু কিছুতেই সোহেল রানা সুস্থ হচ্ছে না। শেষমেশ চিকিৎসক পরামর্শ দেন ভারতে নেয়ার।
তিনি আরও বলেন, বাড়িসহ জমিজমা সব বিক্রি করেও ছেলেকে রক্ষা করতে পারছি না। সব শেষ করে এখন আমি নিঃস্ব। কিভাবে ছেলের চিকিৎসা করাব তা বুঝতে পারছি না। এখন নিজের বাড়ি বিক্রি করে ভাড়া বাড়িতে থাকছি।
ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু সোহেলের মা বলেন, ক্যান্সার শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৪-১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এখনো ১২-১৩ লক্ষ টাকার মতো দরকার। কোথা থেকে এত টাকা জোগাড় করব তাই ভেবে উঠতে পারছি না। আমরা গরিব-অসহায়, তাই হয়তো এতো টাকা জোগাড়ও করতে পারব না। তবে আমি আমার এই ফুটফুটে ছোট্ট বাচ্চাটাকে হারাতে চাই না।
আক্রান্ত শিশু সোহেল রানার প্রতিবেশী হানিফ আলী জানান, সোহেলের বাবা আর্থিকভাবে তেমন স্বচ্ছল নন। তিনি ট্রাকে সামান্য বেতনে চাকরি করেন। তবে এরই মধ্যে গত এক বছরে মাসে চিকিৎসায় বাড়ি ও জমি বিক্রি করে ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা খরচ করেছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, সোহেলের পুরো চিকিৎসায় অন্তত ১২ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। এখন সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা না পেলে অকালেই ঝরে যাবে সোহেলের জীবন। তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে চাইলে মোবাইল নম্বরে (০১৩২২৩৩১৫৩০) যোগাযোগ করতে পারেন বিত্তবানেরা।
এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন, দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।