উলিপুরে ১১ সন্তানের জনক সেজে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ
সাজাদুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম মঙ্গলবার বিকেল ০৫:৪৯, ২৯ জুন, ২০২১
কুড়িগ্রামের উলিপুরে নিজ, স্ত্রী, ছেলে ও দুই শ্যালকের মোবাইল নাম্বার দিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেছেন এক প্রধান শিক্ষক।
উপজেলার ধরণীবাড়ী মাদারটারী পূূূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবার রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মোসলেম উদ্দিন নামে সুবিধা বঞ্চিত এক অভিভাবক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুলিপি মহাপরিচালক, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষন ইউনিট, বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রাথমিক বিভাগ, জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা মনিটরিং অফিসার (উপবৃত্তি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার (সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার)ও উলিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র অভিভাবক মোসলেম উদ্দিন অভিযোগে উল্লেখ করেন, ১৯৮৬ সাল থেকে উপজেলার মাদারটারী পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাহবুবার রহমান প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে প্রধান শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে নিজের পক্ষীয় লোকজন দিয়ে পকেট কমিটি তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে তিনি তাদের যোগসাজসে স্লিপ, প্রাক-প্রাথমিক ও রুটিন মেইনটেন্স প্রকল্পের টাকা নয়-ছয় করে আসছেন। চলতি বছর জানুয়ারিতে সরকার ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর জন্য উপবৃত্তির টাকা বরাদ্দ দিলে প্রকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের বাদ দিয়ে অসাদু ওই প্রধান শিক্ষক নিজে তালিকায় ৫৯ নং শিক্ষার্থীর চাচা ও ৯১, ১২৮,১২৯,১৬৯,১৭৪,২১৫ নং শিক্ষার্থীর বাবা, তার স্ত্রী সাবিনা বেগম ১০৪,১৬৮,২১২ নং শিক্ষার্থীর মা, তার ছেলে সাদেকুল ১৩০,১৩২ শিক্ষার্থীর ভাই ও ০৭ নং শিক্ষার্থীর বাবা এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের দুই শ্যালক মাইনুল ও মেহেদী ভূয়া ভাই, চাচা ও পিতা সেজে ৪ জনসহ ১৭ শিক্ষার্থীর ৩১ হাজার ৮৫০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়াও অভিযোগে আরও উল্লেখ আছে গত মাসে প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রতি ২৮টি করে বিস্কুটের প্যাকেট বরাদ্দ থাকলেও উক্ত প্রধান শিক্ষক ২৩টি করে বিস্কুটের প্যাকেট বিতরণ করেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মাহাবুবার রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আসলে বিষয়টা সেরকম না, সাক্ষাতে বলবে বুঝতে পারবেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাদিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে, তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।