ইউনিয়নে ধান ক্রয়কেন্দ্র চালুসহ চার দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষকফ্রন্টের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি
মেঘনা নিউজ ডেস্ক সোমবার রাত ১১:১১, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
তারেক আল মুরশিদ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র চালু করে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়, ঘুষ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও গর্ভবতী (মা ও শিশু) ভাতা প্রদান, শীতার্ত অসহায় মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ ও সামরিক রেটে রেশনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) অঙ্গ সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষকফ্রন্ট গাইবান্ধা সদর উপজেলা ফোরাম।সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা শহরের ডিবি রোডের গানাসাস মার্কেটের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে নেতাকর্মীরা। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদের সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, সদস্য সুকুমার চন্দ্র মোদক ও মহিলা ফোরামের আহবায়ক ইশরাত জাহান লিপি প্রমুখ।বক্তারা বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়নে সরকারিভাবে ধান ক্রয়কেন্দ্র চালু করতে হবে। আর তাহলেই কৃষক লাভবান হবে। কেননা অনেক কৃষক ধানের বদলে অন্য ফসল বা মাছ চাষে ঝুকছেন।গরীব অসহায় মানুষদেরকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও গর্ভবতী (মা ও শিশু) ভাতা নিতে গিয়ে ঘুষ দিতে হচ্ছে। ঘুষ ছাড়া মিলছে না এসব ভাতা। আর এতে করে প্রকৃত ভাতাভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কারণ যাদের টাকা আছে তারা টাকা দিয়ে এসব ভাতা কার্ড নিচ্ছেন।বর্তমানে শীতে খুব কষ্ট পেতে হচ্ছে গরীব মানুষদের। তাই প্রকৃত দরিদ্রদের তালিকা করে তাদেরকে শীতবস্ত্র দিতে হবে। এ ছাড়া সামরিক রেটে রেশন দেওয়ারও দাবি জানান বক্তারা।সেই সাথে বরিশালের বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্তীর বাবা মুক্তিযোদ্ধা তপন কুমার চক্রবর্তীকে রাজাকারের নামের তালিকায় অন্তর্ভুক্তিতে ও হরিজন সম্প্রদায়ের এক ছাত্রকে গাইবান্ধা সদর উপজেলা মডেল স্কুল ও কলেজে ভর্তি করে না নেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানান বক্তারা।মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) হাতে তুলে দেওয়া হয়।