শিবচরে নির্বাচনে জিতেই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থককে বাড়ি থেকে ডেকে মারধর
মীর ইমরান-মাদারীপুর রবিবার বিকেল ০৪:৫৯, ৯ জানুয়ারী, ২০২২
মাদারীপুর শিবচরের বন্দোরখোলায় নির্বাচনে জিতেই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিজয়ী প্রার্থী সাদ্দাম খানের সমর্থক গোষ্ঠী। বিপক্ষ সমর্থক মো: ঠান্ডু ফরাজীকে বাড়ি থেকে কলাবাগানে ডেকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বন্দোরখোলা ইউনিয়নের পূর্বখাস বন্দোরখোলা কাজির সূরা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। আহত ঠান্ডু ফরাজী শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি রয়েছে। মাথায় মারাত্মক আঘাত থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
আহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার শিবচরে ৫ম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বন্দোরখোলা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আ: রহমান খান সাদ্দাম সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে আহত ঠান্ডু ফরাজী চেয়ারম্যান সাদ্দাম খানের বিপক্ষের প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থক হিসেবে নির্বাচনে কাজ করেন।
নির্বাচনে জিতেই আ: রহমান খান সাদ্দামের সমর্থকরা বিপক্ষের প্রার্থীর কর্মী ঠান্ডু ফরাজীকে ঘর থেকে ডেকে কলার বাগানে নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন জানায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাদ্দাম খানের হুকুমে ৭/৮জন মিলে ঠান্ডু ফরাজীকে এলোপাতাড়ীভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। এতে মাথায়, গলায়, বুকে ও পেটে দেশীয় অস্ত্রসহ কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে অচেতন করে চলে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত ঠান্ডু ফরাজী জানান, নির্বাচনে আমি আ: রহমান খান সাদ্দামের বিপক্ষের নির্বাচন করি। শনিবার সন্ধ্যায় সাদ্দাম খানের সমর্থকরা আমাকে ঘর থেকে ডেকে কলার বাগানে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান সাদ্দাম খানের হুকুমে রুবেল খান ও চান মিয়াসহ ৭/৮জন আমাকে এলোপাতাড়ীভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। মাথায় এবং গলায়, বুকে ও পেটে কিল-ঘুষি ও লাথি মারে।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আ: রহমান খান সাদ্দাম জানান, কাউকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর কিংবা হামলা এরকম কোন কর্মকান্ডে আমার কর্মী বা সমর্থকরা জড়িত বলে আমার জানা নেই। এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
উল্লেখ্য, পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচনে বন্দোরখোলা ইউনিয়নে আঃ রহমান খান সাদ্দাম ঘোড়া মার্কা নিয়ে ৩ হাজার ৬শত ৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নিজাম উদ্দিন আহমেদ বেপারী অটোরিক্সা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছেন ১হাজার ৫শত ১৫ ভোট।
শিবচর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিরাজ হোসেন জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ শিবচর থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।