রমরমা চলছে ইট ভাটার ব্যবসা
নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার রাত ০৯:১৬, ১২ জানুয়ারী, ২০২০
এহসান প্লুটো(ফুলবাড়ী),দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় সরকারী নিয়মের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ইটভাটা।আর এসব ইটভাটায় অবাধে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) বিক্রি করা হচ্ছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে কমদামে মাটি কিনে বেশি টাকায় ইট ভাটায় সরবারহ করছে।অনেক কৃষক না বুঝেই লাভের আশায় ভাটা মালিকের কাছে মাটি বিক্রি করছেন। এসব মাটি পরিবহনের জন্য ট্রাক্টর(কাঁকড়া) ব্যবহার করা হচ্ছে। এইসব মাটি পরিবহনের ফলে কাঁচা,পাকা রাস্তা বিশেষ করে গ্রামীন রাস্তাগুলো মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।দিনাজপুর জেলায় প্রতি বছর দুই এক টি করে নতুন ইটভাটা গড়ে উঠছে। আর এসব ইটভাটা বেশির ভাগই গড়ে উঠছে আবাদি জমিতে। যার ফলে প্রাকৃতিক ভারসম্য ও পরিবেশ মারাত্নকভাবে দূষিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এসব
ইটভাটার অধিকাংশরই পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের নেই কোন ছাড়পত্র।শিবনগর ইউনিয়নের সাগর হোসেন জানান,‘এক বিঘা জমির মাটি ছয় থেকে সাত হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে’। যেসব জমির মাটি ভাটায় বিক্রি করা হয় সেসব জমিতে প্রায় তিন বছর পর্যন্ত ভালোভাবে চাষাবাদ হয়না।৪নং বেতদিঘী ইউনিয়নের নথন গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন,অপরিকল্পিত ভাবে যত্রতত্র গড়ে উঠছে ইটভাটা। একরের পর একর জমির টপ সয়েল কেটে ইটভাটাতে ব্যবহার করায় উর্বরতা হারিয়ে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়াও এর বিষাক্ত ধোয়া ও ছাইয়ের কবলে পড়ে ধানের পাতা, কলার পাতা সহ আশেপাশের সকল সবুজ গাছপালাগুলোর পাতা পুড়ে যাচ্ছে।পরিবেশ কর্মীরা বলেছেন, ইটভাটার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ ও নষ্ট হচ্ছে ফসল। মানুষ ও নানা সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে, যার মধ্যে ছোট শিশুরাই অধিকাংশ।
উল্লেখ্য,সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রসাশন ইটভাটার লাইসেন্স দিয়ে থাকে।এক্ষেত্রে,পরিত্যক্ত অনাবাদি জমি,নিচু জলাশয়ের ধারে,নদীর পাশে এবং কমপক্ষে ১ কিলোমিটার জনশূণ্য এলাকায় ইটভাটা স্থাপনের অনুমোদন দেওয়ার কথা। কিন্তু দিনাজপুরের কোন ইটভাটা মালিকই এসব শর্ত মানছে না।