মাদারীপুরে বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা
মীর ইমরান-মাদারীপুর শনিবার রাত ১০:৫৬, ১ জানুয়ারী, ২০২২
মাদারীপুর সদরের হোটেল মাতৃভূমির সম্মেলন কক্ষে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর ৫০ বছর উপলক্ষ্যে “বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছা” শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা ও সুধীজন সম্বর্ধনা দিলেন ইসলামী কল্যান সংস্থা(ওয়াকফ) মাদারীপুর ও হোটেল মাতৃভূমির স্বত্বাধিকারী এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মাদারীপুর জেলা শাখার তথ্য ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষি বিদ আ,ফ,ম বাহাউদ্দীন নাসিম এর সহোদর মোঃ জালালউদ্দিন আহম্মেদ ইয়ামিন।
এ সময় সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সম্মাননা পুরষ্কার গ্রহন করেন ‘৭১ এর নৌকমান্ডো আব্দুল গফুর খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ সোহরাব হোসেন, মোঃ হারুন শরীফ, মোঃ মোনাসেফ শরীফ, নূরমোহাম্মদ শরীফ সহ প্রমুখ।
জালালউদ্দিন ইয়ামিন তার বক্তব্যে বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা সেদিন গুলোতে নিজের জীবনের মায়া, পরিবার পরিজনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং আমরা তাদের ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবো না।
একমাত্র আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারই তাদের মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা প্রদান, দুই ঈদ বোনাস, চিকিৎসা সেবা, ঘর নির্মাণ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সহ সর্বোচ্চ সম্মাণ প্রদান করেছেন যা অতীতের কোনো সরকার তা প্রদাণ করেন নি।
৭১ এর নৌকমান্ডো বীরমক্তযোদ্ধা আব্দুল গফুর খান যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, সেদিন মাদারীপুর থেকে মাত্র ১৫ জন এবং তাদের দলে বিভিন্ন জায়গা থেকে মাত্র ১৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা ভারতে গিয়ে নৌ-কমান্ডো ট্রেনিং করেছেন। যুদ্ধে মারা গেলে তাদের কোনো দায়-দাবী নাই এই মর্মে তারা বন্ডসই দিয়ে দেশে এসে নৌকায় করে মাঝি সেজে নারায়নগঞ্জে পাগলায় অপারেশন জ্যাকপট পরিচালনা করেন এবং মাইন নিয়ে অবস্থান নেন। ১৪ ই আগষ্ট/’৭১ এ রাত ১ টায় ডুব দিয়ে পাক বাহিনীর রনতরীতে সেগুলো লাগিয়ে দেন। তারা ১৫ ই আগষ্ট/’৭১ এ এভাবে প্রায় ২৫ টি যুদ্ধের জলযান মাইনব্লাষ্ট করে ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা ছিলাম যুদ্ধের রণাঙ্গণে সম্মুখযোদ্ধা যারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু যখন দেখি মাদারীপুরের বুকে অনেক অযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা খেতাব নিয়ে কর্তৃত্ব করছেন তখন খুব কষ্ট লাগে, দুঃখ হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আজাদুর রহমান মুন্সী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব খান মোহাম্মদ শহীদ, ছাত্রলীগ জেলা শাখার সেক্রেটারী বায়োজিদ হাওলাদার।
পরে শহীদ সকল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং জীবিত সকল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু,সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।