ভোলায় হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা শুক্রবার রাত ১১:৫৩, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১
ভোলায় ১০ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বর্ণাঢ র্যালি ও দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবস উপলক্ষে সকালে ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে বর্ণাঢ র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ’ভোলা মুক্ত’দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭১ সালে তাঁর নেতৃত্বে অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙ্গালী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা ও গৌরব গাঁথা সেই সোনালী ইতিহাস স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে ভোলার জনগন যেমনি ভাবে পাকিস্তানী হানাদার থেকে ভোলাকে মুক্ত করেছে তেমনি ভাবে ২০২১ সালের এই দিনে প্রতিজ্ঞা করি আগামীর ভোলা’কে সন্ত্রাস, দূর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত করে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে অগ্রগামী হবে।
১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় আজকের দ্বীপ জেলা ভোলা। সেদিন সকালে পাক বাহিনী ভোলা লঞ্চঘাট হয়ে কার্গো লঞ্চ যোগে পালিয়ে যায়। সকালে এ খবর পেয়ে হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষ ভোলার রাজপথে নেমে আসে। বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠে সবাই। ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের খবর আসতে শুরু করে। পাকিস্তানী হানাদারেরা নিশ্চিত পরাজয় টের পেয়ে পালানোর পথ খুঁজতে থাকে। ১০ ডিসেম্বর তাদের পালিয়ে যাওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ভোলার খালে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের লঞ্চের গতিরোধ করার চেষ্টা করে মুক্তিকামী জনতা।
এসময় তারা গুলি বর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় কার্গো লঞ্চটি ডুবে গেলে পাকিস্তানী হানাদেরদের সকল সদস্য নিহত হয়।
এ সময় ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিনসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যগণ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানগন সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।