ভোলায় আব্দুর রহিম নিহতের ঘটনায় ৩৬ পুলিশ সদস্যকে আসামী করে স্ত্রীর মামলা দায়ের
কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা শুক্রবার ১২:২৫, ৫ আগস্ট, ২০২২
ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী, আব্দুর রহিম মাতাব্বার নিহতের ঘটনায় স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে, ৩৬ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ভোলা জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলা নম্বর এমপি ৪০৫/২২। মামলায় ভোলা সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপ-পরিদর্শকসহ ৩৬ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী খাদিজা বেগমের আইনজীবী আমিরুল ইসলাম বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার কামাল মামলাটি আমলে নিয়ে ভোলা সদর থানা-পুলিশকে ৮ আগস্টের মধ্যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, সুরতহাল প্রতিবেদন, মেডিকেল প্রতিবেদনসহ সব তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী বিচারকের কাছে মামলাটি জুডিশিয়াল কিংবা র্যাব দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে সারা দেশের সঙ্গে ভোলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তেল-গ্যাস, বিদ্যুৎসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকা দেওয়া হয়। ভোলা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুর রহিম মাতাব্বর, বাড়ি সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রাম থেকে এসে সেই সমাবেশে যোগ দেন।
বেলা ১১টায় শুরু হওয়া সমাবেশ সাড়ে ১১টার দিকে শেষ হলে, ২৫০-৩০০ নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেন। বিক্ষোভ মিছিল শুরু হতেই পুলিশ বাধা দিয়ে লাঠিপেটা শুরু করে। লাঠিপেটার একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। এ সময় আব্দুর রহিম মাতাব্বর গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। তখন পুলিশ বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলায বিষয়ে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি এখনো জানতে পারিনি। কাগজপত্র হাতে এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে ওই দিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো.নুরে আলম, গত বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার গ্রীন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালে মারা গেছেন। গত রোববার ভোলায় সংঘর্ষের সময় তিনি পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে ভোলা ও বরিশালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছিল।