বড়লেখায় স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপে হত্যাচেষ্টা,স্বামী আটক
মোঃইবাদুর রহমান জাকির সোমবার বিকেল ০৪:১৪, ৫ জুলাই, ২০২১
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্ত্রীর শরীরে পেট্রোল ও এসিড সংমিশ্রণ করে ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে পাষণ্ড স্বামী।
গতকাল (৪জুলাই) রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ (দঃ) ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব গাংকুল এলাকায় এ নির্মম ঘটনা ঘটে। অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু পূর্ব গাংকুল এলাকার রফিক উদ্দিনের মেয়ে রহিমা বেগম (২৪)।
এ ঘটনায় গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ হতে ঘাতক স্বামীকে একমাত্র আসামি করে বড়লেখা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বামী একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আরেগঙ্গাবাদ এলাকার মকবুল মিঞার ছেলে মোটরসাইকেল ইঞ্জিনিয়ার শিপন মিঞা (৩০) ঘটনার পর পরই পালিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সকালবেলা রহিমার চিৎকার শুনে ঘরে এসে রহিমার শরীরে আগুন দেখে সবাই যখন আগুন নিভাতে ব্যস্ত সেই সুযোগে ঘাতক পালিয়ে যায়।রহিমার শরীরে পেট্রোল ও এসিড সংমিশ্রণ করে ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় তার শরীর জলসে যায়, চুল, পরনে থাকা কাপড় ও বিছানা জ্বলে অঙ্গার হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফয়জুল ইসলাম উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে জীবন- মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে রহিমার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক বলেছে, আমার মেয়ের শরীরের শতকরা ৮০ভাগ পুড়ে গেছে। সে বাঁচবে কিনা সন্দেহ। বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। বড়লেখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছুরি, পেট্রোল ও আনুষঙ্গিক আলামত জব্দ করেছে।