বগুড়ার সান্তাহারে রাধাকান্ত হাটে জিলাপির দোকান
মোঃআতিকুর হাসান,আদমদিঘী,বগুড়া শনিবার দুপুর ০৩:৫৩, ১৪ নভেম্বর, ২০২০
বাঙালি মাত্রই মিষ্টি পছন্দ করে। রসগোল্লা, চমচম, কালোজাম, রসমালাই, সন্দেশ নানা স্বাদের মিষ্টি পাওয়া যায় এই দেশে। এদেশে মজার মিষ্টির মধ্যে জিলাপি অন্যতম। জিলাপি ছোট-বড় সবার কাছে বেশ পছন্দের খাবার। জিলাপি তৈরি ব্যবহিত হয়, ময়দা চিনি গুড়, বেকিং পাউডার, ফুড কালার, জাফলং। জ্বলন্ত ফুটন্ত তেলের মধ্যে ডান হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জিলাপি তৈরি করেন কারিগররা। ভালোমতো ভাজার পর ছাড়া হয় চিনির জিলাপি চিনির সিরায় এবং গুড়ের জিলাপি ছাড়া হয় গুড়ের সিরায়।
উত্তরবঙ্গের বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা একটি ঐতিহ্যবাহী হাট সান্তাহার রাধাকান্ত হাট। সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার এই দুই দিন এখানে হাট বার বসে। এই হাটে বিভিন্ন খাবারের দোকান থাকলেও জুলাপির দোকানে বেশ ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা যায়। দুপুর ১২ টা হইতে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলে কারিগরদের নিপুন হাতের তৈরি করা মচমচে সুস্বাদু চিনির ও গুড়ের জিলাপি। বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই হাটে আসে মজাদার এই জিলাপি খেতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এই হাটে মূলত দুই ধরনের জিলাপি তৈরি হয় একটি গুড়ের এবং একটি চিনির। এ হাটের দুই জিলাপি দোকানের মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে দুপুর থেকে অনেক রাত পর্যন্ত ক্রেতারা তাদের দোকানে আছে জিলাপি কিনতে। জিলাপি বিক্রেতা জামাল হোসেন ও নুরুজ্জামান জানান তাদের দোকানের মূলত দুই ধরনের জিলাপি তৈরি হয়। একটা গুড়ের জিলাপি আরেকটা চিনির জিলাপি। এই দুই ধরনের জিলাপি প্রতি কেজি ৮০ টাকা দামে বিক্রি হয়।
তারা আরো জানান শুধু জিলাপি তৈরি নয়, জিলাপি তৈরির পাশাপাশি তারা চাপা বুন্দা, চানাচুর, নিমকি,কিনা ইত্যাদি তৈরি করে থাকেন। পারবোয়ালিয়া গ্রামের এক জিলাপির ক্রেতা বাচ্চুর সাথে কথা বলে জানা গেছে সে প্রতি হাটে এখানে জিলাপি ক্রয় করতে আসেন। তিনি জানান এ হাটের জিলাপি অন্যান্য হাটের চেয়ে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার।