পঙ্গু-পাগল কেউ পেলো না ছাড়, মৃত্যুর এ উৎসব চলবে আর কত কাল
মেঘনা নিউজ ডেস্ক মঙ্গলবার রাত ১০:১২, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা মহোদয় গনসহ প্রশাসন যদি বলেন, এটা মব-জাস্টিস, তবে তার মত আর্মি ফৌজের উপদেষ্টা মহোদয় এমন কথা বলবেন তা সাধারণ জনগণের বোধগম্য নয়। আর এই মব-জাস্টিস চলতে থাকলে মানুষ আইনের প্রতি ও বর্তমান সরকারের প্রতি শ্রদ্বা হারাবেন।
এই অন্তবর্তী সরকারকালীন সময়ে এখন পর্যন্ত ৪৭ জন মব-জাস্টিস হত্যা হয়েছে। যা বিভিন্ন পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়া, টকশোতে প্রতিনিয়ত শুনতে পাচ্ছেন।
তবে প্রশ্ন হল, যেসকল এলাকা ও যাহারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন, বা ঘটে তাদেরকে বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কি? কোথায় কোন মামলা হয়েছে কি বা হবে আশা করা যায়?
৭১ এর স্বাধীনতার পর এধরনের অত্যাচার বা মব-জাস্টিস এত প্রানহানী হয়নি, আমার বাংলাদেশে।
এই মব-জাস্টিস এর বিরুদ্ধে সুশীল ও সুবোধ মুরব্বিদের মুখে কোন প্রতিবাদ বা আলোচনা হয়েছে বা করেন কি এখন পর্যন্ত?
যেন তারা এখন গ্রহান্তরিত হয়েছে, বা তারা সহমত পোষণ করেছেন। দেশে হিউম্যান রাইটস্ বা বিশ্ব মানবাধিকার কমিশন, নিরাপত্তা পরিষদ কত কিছু আছেন। তারা এখন কোথায়? তাদের মুখের বূলি বন্ধ কেন? বর্তমান সময়ে এই ভিডিও গুলো দেখার মত কি? আর আপনি যদিবা দেখলেন তখন আপনার বিবেক কি বলে? মানুষ নামের জীব কি ভাবে এই পৈচাশিক নির্যাতন করতে পারেন।
আসলেই আমরা কি মানুষ? পাশ্চাতের অস্কফোর্ড খ্যাত ও বাংলাদেশের সকল স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি এই অনাচারের আবাস ও আখরা হয়, তবে অন্য প্রতিষ্ঠান গুলোতে কি হবে বা হতে পারে সবার বোধগম্য নয়!
মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়, আপনি একটু হাসি মুখে সংবাদ সম্মেলনে বলছেন এটা মব-জাস্টিস! তবে আপনি কেন আছেন, আর আপনার দায়িত্ব হল এ ধরনের ঘটনার পর একটু মূচকি হাসিমুখে বলা, এটা একটা আপতকালিন মব-জাস্টিস। তাই নয় কি?আপনি এই প্রসহন বন্ধ করুন। আপনি বিগত স্বৈরাচারের মত একটা তদন্ত রির্পট করবেন, আওয়ামীলীগের কর্মী বা নেতারা দেশকে অশান্ত করার জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন। আসলে কি তাই? বাংলার আপামর জনগন জানেন এ মুহূর্তে বাইনোকুলার দিয়ে খুঁজে একটা আওয়ামীলীগের কোন সদস্য পাওয়া যায় কিনা তা সন্দেহ আছে।
বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোয়। ১৬ বছরের স্বৈরসরকার অবসানের পর আপনি এই মহান দায়িত্বরত আছেন। আপনি যদি এই অনাচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সঠিক বিচার করতে না পারেন বা অপরাগ হন, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে ব্যার্থ হন, তবে পূর্বের স্বৈরসরকার ও বর্তমান সরকারের কিবা পার্থক্য? বাংগালী জাতীর বোধগম্য নয়।
আমাদের মত কলম যোদ্ধাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই সরকার, এটা আপনাকে মনে রাখতে হবে। আপনার দায়িত্ব অনেক বেশী, আর জনগনের জীবনের নিশ্চয়তা দেয়া আপনার দায়িত্ব। একজন স্মৃতি ভ্রমকে, একজন ছাত্রকে, একজন সংখ্যা লঘুকে যদি জীবনের, মালপত্রর নিশ্চয়তা দিতে অপরাগ হন, তবে জনগনের চোখে আপনিও অপরাধী।
মাননীয় সকল উপদেষ্টা মহোদয়গন আপনারা নিজ নিজ দায়িত্বে আরও অনেক বেশী সচেতন হন। আর যাহারা এ অপরাধ করছেন তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করুন। আর বাংলাদেশের সকল জনগণের জীবনের নিশ্চয়তা দিন। আমি এই লিখনির মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা মহোদয়ের সাহায্য কামনা করছি, আপনাদের সু নেতৃত্বের মাধ্যমে যেন আর কোন অপরাধীহোক বা নিরাপরাধী হোক কোন বাংগালীর একটি প্রান ঝড়ে না পড়ে। এটা আমাদের মত সাধারণ বাংগালীর একমাত্র চাওয়া ও অনুরোধ মাত্র।
লিখেছেনঃ
আমির ইসলাম রহিম
সাধারণ সম্পাদক, মেঘনা উপজেলা
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ