চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাঁড়িভাঙ্গা আম রপ্তানি হলো সুইডেনে
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন বৃহস্পতিবার রাত ১০:৫৮, ১৫ জুন, ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎপাদিত সুমিষ্ট হাঁড়িভাঙ্গা আম এবার দেশের সীমানা ছাড়িয়ে রপ্তানি হয়েছে সুইডেনে। সোমবার (১২ জুন) বিকেলে জেলার নাচোল উপজেলার আম চাষি মো. রফিকুল ইসলামের বাগান থেকে ফল ও সবজি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমবিবি এগ্রো এক মেট্রিক টন হাঁড়িভাঙ্গা আম সুইডেনে পাঠিয়েছে। আর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. বদরুদ্দোজা।
এ বিষয়ে নাচোলের আমচাষি রফিকুল ইসলাম জানান, নাচোলের গোলাবাড়ি ইউনিয়নের তেনবোনা এলাকায় আমার নিজের জমি আছে। সেখানে ও পাশে লিজ নেয়া মোট ৮৪০ বিঘা জমিতে মূলত হাইব্রিড জাতের বারি-৪, ব্যানানা, আম্রপালি, কাটিমন ও দেশি খিরসাপাত জাতের আমগাছ রোপণ করেছিলাম। গত বছর সীমিত পরিসরে আম রপ্তানি করলেও চলতি বছর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উত্তম পদ্ধতিতে আম চাষ করার মাধ্যমে বিশেষ করে হাঁড়িভাঙ্গা আম রপ্তানির সুযোগ পেয়েছি।
মেসার্স এমবিবি অ্যাগ্রো লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. বদরুদ্দোজা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সন্তান হলেও আমি মূলত সুইডেনেই থাকি। ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন ধরনের সব্জির পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুমিষ্ট আম সুইডেনে রপ্তানি করে আসছি। এ বছর এখন পর্যন্ত ৪ মেট্রিক টন আম সুইডেনে ও ৩ মেট্রিক টন আম লন্ডনে পাঠিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার হাঁড়িভাঙ্গা আম বিদেশে রপ্তানি করা হলো। চাহিদা বাড়লে এলাকার অন্যান্য কৃষক ভাইদের কাছ থেকে আম কিনে সেগুলোও বিদেশে রপ্তানি করবো।
তিনি আরও বলেন, সুইডেনের স্টকহোমের বিভিন্ন ব্যবসায়ী আমাকে আমের অর্ডার দিয়ে রাখেন। পরে আমি নাচোল থেকে আমগুলো প্যাকিং করে পাঠিয়ে দিই। সুইডেন বিমানবন্দর থেকেই আমগুলো তাদের কাছে পৌঁছে যায়।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড, পলাশ সরকার বলেন, বদরুদ্দোজার মাধ্যমে জেলা থেকে প্রথমবার এই আম মৌসুমে হাঁড়িভাঙ্গা আম রপ্তানি হয়েছে সুইডেনে। সোমবার দ্বিতীয় দফায় আম গেলো সুইডেনে। তার আগ্রহ এবং জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রচেষ্টায় ‘উত্তম কৃষি চর্চা’ পদ্ধতির কারণে এ জেলার আমের চাহিদা বিদেশে বাড়ছে। যা জেলার অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। আর তাই রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনে আমরা চাষিদের সব সময় বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে প্রথম দফায় সাত মেট্রিক টন খিরসাপাত আম লন্ডন ও সুইডেনে রপ্তানি করা হয়।