চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ বুধবার ১২:২৭, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
“পর্যটনে নতুন ভাবনা”-শ্লোগানে বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২২ উদযাপিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। দিবসটি পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, পর্যটন শিল্প নিয়ে ভাবনার আগে আমাদের মানসিক পরিবর্তন জরুরী। কারণ ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা স্বত্ত্বেও পর্যটন শিল্পের বিকাশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরী। আর তাই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় না রেখে পর্যটনের বিকাশ করা তেমন কার্যকর হবে না। তাই পর্যটকদের ফেলে দেয়া নানা বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কারণ একটি প্লাস্টিক বর্জ্য নষ্ট না হয়ে কয়েকশ বছর একইভাবে টিকে থাকে। ফলে আগামী ৫০ বছর পর হাওর অঞ্চলে ব্যাপকহারে কমবে খাদ্য উৎপাদন। আর তাই এগুলো আবারও ব্যবহার উপযোগী করে তোলার দিকে আমাদেরকে মনযোগ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জেও পর্যটন শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটানো হবে। পর্যটন প্যাকেজ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সবগুলো জায়গা একসাথে ঘুরে দেখার পরিকল্পনা করা হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে দারসবাড়ি ও চামচিকা মসজিদ নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা করা হয়েছে। ছোট সোনামসজিদের সামনে অবস্থিদ কবরগুলো কাদের তাদের তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে। বাবু ডাইং-এ একটি ওয়াচ টাওয়ার করার পরিকল্পনা রয়েছে। আর পদ্মা ও মহানন্দা নদীর তীরে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নানারকম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে আরও আগ্রহী হবে পর্যটকরা।
এ সময় সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী আব্দুস সামাদ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার রেশমসহ নানা ঐতিহ্যবাহী জায়গা রয়েছে। প্রাচীনকালের বিশ্ববিদ্যালয় দারাসবাড়ি মসজিদে যাওয়া যায় না। রাস্তাঘাট ঠিক করতে হবে। তাতে যে কেউ খুব সহজে যেতে পারবে। এছাড়াও স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক ইতিহাস ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গা রয়েছে। সেগুলোতে যাতে পর্যটক যেতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।
জেলা কালচারাল অফিসার ফারুকুর রহমান ফয়সালের সঞ্চালনায়; আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার মো. ওয়াহিদুজ্জামান জুয়েল, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সোনামসজিদ পর্যটন মোটেলের ইউনিট ম্যানেজার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষি এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সাধারন সম্পাদক মো. আতিকুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।