চাঁপাইনবাবগঞ্জে খাবারে প্রতারণার অভিযোগে দন্ডিত হোটেল মালিক
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোমবার সন্ধ্যা ০৬:৪৭, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে রাজ ফুড ক্যাসেল এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডার নামে একটি রেস্তোরায় দুপুরের খাবারে হাঁসের মাংসের বদলে ব্রয়লার মুরগির মাংসকে হাঁসের মাংস বলে চালিয়ে প্রতারণার ঘটনায় করা অভিযোগে ওই হোটেলের মালিককে অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ ফেরত পেয়েছেন অভিযোগকারী সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের শুনানি শেষে এই টাকা ফেরত পান তিনি। প্রতিষ্ঠানটির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সালাম অভিযুক্ত রেস্তোরার মালিককে জরিমানা করে ওই সাংবাদিককে ফেরত দেন টাকা।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সালাম বলেন, লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য উভয়পক্ষকে আজ সোমবার দপ্তরে শুনানীর জন্য ডাকা হয়। পরে উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে এবং মাংসের প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় নাচোলের অভিযুক্ত রাজ ফুড ক্যাসেল এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডার প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. কামরুজ্জামান রুবেলকে জরিমানা করা হয় ৫ হাজার টাকা। এরপর আইন মোতাবেক জরিমানার এক চতুর্থাংশ অর্থ প্রদাণ করা হয় অভিযোগকারী সাংবাদিক মো. আমানুল্লাহ আমানকে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান বলেন, প্রতারণার প্রমাণ ভিডিও ফুটেজসহ গত ২৭ ডিসেম্বর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছিলাম। এক মাস পর হলেও আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যে কোনো ভোক্তা প্রতারিত হলে এভাবেই অভিযোগ দেয়া উচিত। এতে ভোক্তার সঙ্গে কেউ প্রতারণার সাহস পাবে না। স্বচ্ছতা থাকবে সকল প্রতিষ্ঠানে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর নাচোলের বিখ্যাত আল্পনা বাড়ি ঘুরতে গিয়ে ফেরার পথে রাজশাহীর সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমানসহ ৬ গণমাধ্যমকর্মী নাচোলের রাজ ফুড ক্যাসেল এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডারে দুপুরের খাবার খেতে বসেন। এ সময় ভাতের সঙ্গে হাঁসের মাংস দিতে বলেন তারা। কিন্তু ব্রয়লার মুরগির মাংসকে হাঁসের মাংস বলে চালিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। মাংস দেখে প্রথমেই সন্দেহ হয় সাংবাদিকদের। পরে তাতে হাত দিলে এবং খেতে শুরু করলে সেগুলো হাঁসের মাংস নয় বলে স্পষ্ট হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।