চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর নির্বাচনে মোবাইল প্রতীক প্রার্থীর ভোট বর্জণ
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৬:৫০, ৩০ নভেম্বর, ২০২১
এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর নির্বাচনে মোবাইল ফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) মো. সামিউল হক লিটন ভোট বর্জণের ঘোষণা দিয়েছেন। সীমাহীন কারচুপি, ভোট কেন্দ্র দখল, এজেন্ট বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন কারণে তিনি এই নির্বাচন বর্জণের ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জন করার ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় লিটন বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আমার ৬ জন সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে আরো ৫ সমর্থককে। এছাড়া ভোট কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে আমি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখতে পেয়েছি প্রতিটি কেন্দ্রের প্রত্যেক ঘরে নৌকা প্রতীকের একাধিক এজেন্ট অবস্থান করছে। আমি যখন ১৬ নম্বর কেন্দ্রের তাজকেরাতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যাই, তখনও নৌকার সমর্থকরা আমাকে হেনস্থা করেছে। এ নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসন আমাকে কোনো সহযোগীতা করেনি। ফলে আমি এ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’
লিটন বলেন, ‘আমার জীবনে এ রকম বিশৃংখল নির্বাচন কখনোই দেখেনি। আমি একজন মেয়র প্রার্থী হিসেবে জনগণের কাছে উন্নয়নের কথা বলবো। কিন্তু নৌকার সমর্থকরা এমন আচরণ করেছে যে, আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেবেনা। যেন বের হলেই আমাকে মারবে। আমি পৌরসভার মেয়র হতে পারলাম না। তাতে আমার কোন দুঃখ নেই, কিন্ত জনগণের কাছে মেয়র মনোনীত হয়েছি।’
কারণ তারা আমার জয় সুনিশ্চিত দেখেই তারা প্রথমে আমার মোবাইল প্রতিকের বুথগুলো ভাংচুর করেছে। তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে আমার সমর্থকদের আটক করেছে। তারপরও আমার প্রতি জনগনের ভালোবাসায় ঈর্শ্বান্বিত হয়ে পৌর নির্বাচনের ৭২ টি কেন্দ্রে হলুদ গেঞ্জি পরিহিত সন্ত্রাসীরা আমার ওপরতো বটেই ভোটারদেরও ভোট প্রদাণে বাধা দিয়েছে। আর তাই এর কোন প্রতিকার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রহসণের এই নির্বাচন বর্জণ করতে বাধ্য হলাম।
এ সময় তার সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ সদর আসনের সাংসদ মো. হারুনুর রশবদ হারুনের উপস্থিতিতে একই অভিযোগ এনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর নির্বাচন স্থগিতের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি সমর্থিত নারকেল গাছ প্রতিকের মেয়র পদ প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম।