কোরবানির প্রকৃত ভাবার্থ
নিজস্ব প্রতিনিধি শনিবার রাত ০৩:১৪, ৯ জুলাই, ২০২২
শুধুমাত্র পশু কোরবানির মধ্যেই ঈদ-উল-আজহা সীমাবদ্ধ নয়; ঈদ-উল-আযহার বিশেষত্ব ও ফজিলাত সম্পর্কে আমরা অনেকেই সঠিকভাবে জানি না কোরবানির গুরুত্ব আরও অনেক বেশি।
আমরা যদি প্রতি বছর ঈদ-উল-আজহা ও কোরবানির শিক্ষা সঠিকভাবে পালন করতে পারি তাহলে সারা বছর আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পাবো।
হযরত ইব্রাহীম (আ.) শুধুমাত্র আল্লাহ’র সান্নিধ্য লাভের আশায়, নিজের প্রাণাধিক প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)কে কোরবানি করে দিতে চেয়েছিলেন। আল্লাহ’র প্রতি তার এই ভালোবাসা ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মান রেখে প্রতি বছর ঈদ-উল-আজহায় পশু কোরবানি করা হয়।
কোরবানি শব্দের অর্থ ত্যাগ। আর ত্যাগ কেবলই পশু জবাই আর গোশত খাওয়ার জন্য হয় না। বরং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির লাভের আশায় নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তুকে, আল্লাহর পথে কোরবানি দেওয়াই ঈদ-উল-আজহার প্রধান উদ্দেশ্য।
দিন শেষে আল্লাহ আমাদের পশুর আকার, গোশতের পরিমাণ কিংবা দামের তারতম্য বিচার করেন না। বিচার করেন আমাদের মনের ঈমানের পরিমাণ ও তাকওয়ার ওজন। আল্লাহ বিচার করেন কোরবানির পশুটির প্রতি আমাদের ভালোবাসার পরিমাণ।
এ বিষয়ে পবিত্র কুরআনে সুরা হজের ৩৭ নং আয়াতে বলা আছে,“আল্লাহ’র কাছে কোরবানির পশুর গোশত কিংবা রক্ত পৌঁছায় না, তার কাছে কেবল তোমাদের তাকওয়া পৌঁছায়।”
সুরা আনআম এর ১৬২ নম্বর আয়াতে রাসুল (সা.)-কে নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,“বলুন হে মুহাম্মদ! আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ সব কিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমাকে তারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আমি সবার আগে তাঁর অনুগত ও নির্দেশ পালনকারী।”