কুমিল্লা ডিবি পুলিশের অভিযানে ১৩০০০ ইয়াবা ও নোহা গাড়িসহ আটক ০৫
আরিফুল ইসলাম সোমবার দুপুর ০২:২৫, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত আছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশ জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে জোড়ালো অভিযান পরিচালনা করে আসছে।মাদকের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলা পুলিশের প্রতিনিয়ত সাঁড়াশি অভিযানের ফলে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিভিন্নতর কৌশল অবলম্বন করে আসছে। চিহ্নিত ও নতুন নতুন মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে।যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার সহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা ডিবি পুলিশের চোকশ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৮/০৯/২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ বেলা অনুমান ১১.১০ ঘটিকার সময় জানতে পারেন যে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অভিনব কায়দায় বিশেষ প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে প্যাকেট তৈরি করে সেবনের মাধ্যমে পেটের ভিতর ইয়াবা নিয়ে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার কুমিল্লার নির্দেশে ডিবি পুলিশের চৌকস টিম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডস্হ ফুট ওভারব্রিজের নিচে চেকপোস্ট বসাইয়া বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করাকালে চট্টগ্রামের দিক হতে একটি কালো রঙের এক্স নোহা গাড়ি ঢাকা অভিমুখে আসিয়া পুলিশ চেকপোস্ট দেখিয়া উক্ত গাড়িচালক মহাসড়কের উপর গাড়িটি ফেলিয়া গাড়ি হইতে নামিয়া কৌশলে পালাইয়া গেলি ডিবি টিমটি তড়িৎ গতিতে গাড়িটি ঘেরাও করে যাত্রী হিসেবে ০৫ জন যুবককে ভিতরে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গাড়িতে থাকা যুবকগণ অভিনব কায়দায় প্যাকেটজাত এর মাধ্যমে পেটের ভিতর ইয়াবা সংরক্ষণের কথা স্বীকার করে।বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আটককৃত যুবকদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে এক্স-রে করানো হয়। এক্সরে করার সময় সময় তাদের পেটের ভেতর বড় বড় ক্যাপসুল সদৃশ প্যাকেট দেখা যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় মলত্যাগ করানোর পর মলের সাথে ২৬০ প্যাকেট বড় বড় ক্যাপসুল সদৃশ প্যাকেট বাহির করিয়া দিলে প্রতিটি ক্যাপসুলে ৫০ (পঞ্চাশ) টি লালচে রঙের ইয়াবা ট্যাবলেট করে মোট- ১৩,০০০ (তের হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়ে আটকদের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশের এসআই মোঃ ইকতিয়ারর উদ্দিন বাদী হইয়া কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এজাহার দায়ের করে।
আসামীদের নাম, ঠিকানা ও উদ্ধারকৃত আলামত এর বর্ণনা নিচের প্রেস ব্রিফিং কাগজে দেয়া হলো।