একশত চার কোটি টাকা ব্যয়ে ভোলায় ৮টি মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিনিধি শনিবার রাত ০৯:৫৯, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
জেলা প্রতিনিধি,ভোলা: একশত চার কোটি টাকা ব্যয়ে ভোলা জেলার ৭ উপজেলায় ৮টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক
কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭ উপজেলায় ৮৮ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৭টি মসজিদের কাজ
চলমান। শুধু জেলা সদরের জন্য ১৫ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১টি মসজিদের কাজ শিগ্রই শুরু করা
হবে। ১৭০ ফিট বাই ১১০ ফিট জাগায়র উপর তৃতীয় তলা বিশিষ্ট উপজেলার মসজিদগুলো নির্মাণ কাজ
বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ ও ইসলামি ফাইন্ডেশন।
প্রত্যেকটি মসজিদে পুরুষ নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজের আলাদা ঘর,ইসলামিক রিসোর্চ এ-
অটিজম কেন্দ্র,ইসলামিক বুক সেলফ,ইমাম ট্রেনিং সেন্টার সহ অত্যাধুনিক সকল সুযোক-সুবিধা
রয়েছে। জেলা গণপূর্ত বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ভোলা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট এলাকায় গত বছরের জুনে
১১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এটার
১৫ ভাগ কাজের অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে।
দৌলতখান উপজেলার মসজিদ নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। দৌলতখান উপজেলা
কমপ্লেক্সের সামনে এটির বর্তমান পাইব লোড টেস্টের কাজ চলছে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এর
কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তারা আরো জানান, একইভাবে ১২ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তজুমদ্দিন উপজেলায় মসজিদ নির্মাণ
কাজ চলছে। এ বছরের মধ্যেই এর কাজ শেষ করা হবে। মনপুরায় ১৩ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে
মসজিদের সার্ভিস পাইলের ঢালাই কাজ চলছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন
হবে। বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মসজিদের ফাউন্ডেশনের কাজ এগিয়ে চলছে। ১২ কোটি ২১ লক্ষ টাকা
ব্যয়ে এটির কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের মার্চ মাসে।
এছাড়া লালমোহন উপজেলায় ১২ কোটি ১২ লক্ষ টাকা চুক্তি মূল্যে মসজিদের টেস্ট পাইলের কাজ চলছে
এবং ১৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সার্ভিস পাইলের ঢালাই চলছে চরফ্যাশন উপজেলার মসজিদের। এই
দুটো মসজিদের কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের মার্চ মাসে।
ভোলা জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী শরীফ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এসব
মসজিদের প্রথম তলায় প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজের ঘর,মরদেহ গোসল ঘর, পানি সংরক্ষণ ঘর,
গার্ড রুম, ইসলামিক বুক সেলফ সহ বিভিন্ন সুবিধা থাকছে। দ্বিতীয় তলায় প্রধান নামাজের স্থান,
অফিস কক্ষ, ইসলামিক রিসার্চ এ- অটিজম কেন্দ্র, মিটিং রুম থাকছে। তৃতীয় তলায় ইমাম ট্রেনিং
সেন্টার,পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা নামাজ ঘর, গেষ্ট রুম, ইসলামিক গ্রস্থাগার, টয়লেট
জোন ও স্টাফদের রুম রয়েছে।
কাজী শরীফ উদ্দিন আহম্মেদ আরো জানান, ১ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলা শহরের মসজিদ
নির্মাণ কাজের টেন্ডার পক্রিয়া খুব শিগ্রই গ্রহন করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ের
আগেই নির্মাণাধীন মসজিদের কাজ শেষ করার জন্য। কাজের গুনগত মান শতভাগ বজায় রাখার জন্য
নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি
ভোলা জেলা ইসলামিক ফাইন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুর কুদ্দুস নোমান জানান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
তত্বাবধানে বাংলাদেশ সরকারের নিজ অর্থায়নে এসব মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে।ধর্মীয়
গোড়ামী,অপব্যাখ্যা রোধ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে এসব মসজিদ।
একইসাথে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ইসলামিক ভাবধারা উজ্জিবীত করতে সহায়তা করবে মডেল মসজিদ ও
ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তাই মসজিদ নির্মাণ সরকারের একটি সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন
তিনি।