এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্ঠা,থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) শুক্রবার রাত ০১:৩৬, ২৯ জানুয়ারী, ২০২১
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় চারসন্তানের এক জননীকে(২৮) ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি গ্রামে গত সোমবার(২৫জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের রাজাপুর রংপুরহাটি গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২০)কে আসামি করে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮জানুয়ারি) ধর্মপাশা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ওই গৃহবধূর পরিবার ও ধর্মপাশা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পাশ্ববর্তী নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার একটি জামে মসজিদের ঈমাম পদে নিয়োজিত রয়েছেন। সংসার জীবনে ওই গৃহবধূর তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
গত সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই গৃহবধূ (২৮), পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিজেদের বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। একই ইউনিয়নের রাজাপুর রংপুরহাটি গ্রাামের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম(২০) গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে টিন ওকাটের তৈরি দরজা খুলে ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্ঠা করে। এ সময় ওই গৃহবধূ চিৎকার দেওয়ার চেষ্ঠা করলে জহিরুল তাঁর মুখ চেপে ধরে। এ অবস্থায় গৃহবধূর সঙ্গে জহিরুলের ধ্বস্তাধস্তি হয়। এতে ওই তরুণের নখের আঁচরে গৃহবধূর মুখের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
এ সময় গৃহবধূর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঘুম ভেঙে গেলে পরিবারের সদস্যদের একজন ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালিয়ে দিলে পূর্বপরিচিত হওয়ায় পরিবারের সবাই তাঁকে চিনে ফেলে। এ অবস্থায় দ্রত সে সেখান থেকে সটকে পড়ে।
অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে জড়িয়ে এই পরিবারটি মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছে।
ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, মানসম্মানই আমাদের সম্পদ। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি জহিরুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্ঠা করার ঘটনা নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।