উলিপুরের ওষুধ ব্যবসায়ীরা দোকানে তালা ঝুঁলিয়ে বন্ধ রেখেছেন ওষুধ বিক্রি
সাজাদুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম মঙ্গলবার রাত ০১:৪১, ১৯ জুলাই, ২০২২
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জ্বরের প্রকোপ বেড়েই চলছে। সেই সাথে নাপা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের ব্যাপক চাহিদা বেড়ে গেছে। এ সুযোগে কিছু অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী কৃতিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ার অজুহাতে ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছামাফিক দামে ওষুধ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠে।
বিষয়টি কুড়িগ্রাম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নজরে আসলে সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে দুই ফার্মেসী মালিককের ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ওষুধ ব্যবসায়ীরা দোকানে তালা ঝুঁলিয়ে ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে দেন। ফলে দূরদুরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা হতাশ হয়ে ফিরে যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরের সকল ওধুষের দোকান বন্ধ পাওয়া যায় এবং এ বিষয়টি সমাধানের জন্য উলিপুর বণিক সমিতির কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে আলোচনা চলছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোক ক্রেতা সেজে শহরের মেসার্স দেশ ফার্মেসী ও মেসার্স হাবিব মেডিকেল ষ্টোরে ওষুধ কিনতে যায়। এসময় দেশ ফার্মেসী ২০ টাকা ৭০ পয়সার নাপা প্যারাসিটামল সিরাপ ৩৫ ও হাবিব মেডিকেল ৩০ টাকা মূল্যে বিক্রি করে।
পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান দেশ ফার্মেসীকে আট হাজার ও হাবিব মেডিকেলেকে চার হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভোক্তা অধিকারের অভিযানের পর টনক নড়ে ওষুধ ব্যবসায়ী সংগঠনের। পরে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা দোকানে তালা ঝুঁলিয়ে ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে দেন। এতে চরম বিপাকে পড়েন ওষুধ কিনতে আসা মানুষজন।
ওষুধ কিনতে আসা ধামশ্রেনীর সেকেন্দার আলী, উমানন্দ গ্রামের হালিম মিয়া, নুর আলম জানান, কয়েকদিন থেকেই বাড়িতে জ্বর সর্দি, তাই ওষুধ কিনতে এসেছি। কিন্তু ওষুধের দোকান বন্ধ। ওষুধ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
উলিপুর ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পার্থ প্রতিম মজুমদার বলেন, সরকারি রেটে ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে, কিন্তু প্রশাসন সেটা মানছেনা। এর সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট্যকালের জন্য ওষুধের দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
কুড়িগ্রাম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০ টাকা মূল্যের নাপা সিরাপের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা নেয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে, অভিযান চালিয়ে দু’টি ফার্মেসীকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।