আড়াই বছরেও কাজ শেষ না করায় জনদূর্ভোগ দীর্ঘায়িত হলো রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ বাসির
আবু ইউসুফ,নওগাঁ বুধবার দুপুর ০৩:১৭, ৫ মে, ২০২১
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড থেকে আবাদপুকুর ভায়া-কালীগঞ্জ পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়কের প্রশস্ত ও আধুনিকায়নের কাজ গত আড়াই বছরেও শেষ না করায় চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে ওই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার প্রক্রিয়া চলছে। ফলে আরো পিছিয়ে পরল রাস্তার কাজ। এতে জন দূর্ভোগ আরো দীর্ঘায়িত হলো।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানাগেছে, রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ ২২কিলোমিটার সড়কটির প্রশস্ত ও আধুনিকায়ন কাজের জন্য ২০১৮ সালে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ দরপত্র আহবান করে। এতে এক্্রপেকট্রা ওয়াহিদ কনস্ট্রাকসান জয়েন্ট ভেনচার ঢাকা,ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার পান। এতে ২২ কিলোমিটার সড়ক,২৬টি কালভার্ট ও ৪টি সেতু নির্মানের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয় ১০৫ কোটি টাকা।
কার্যাদেশের চুক্তি মোতাবেক সড়কটি নির্মাণ কাজের সময় দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। এর মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কালভার্ট ও সেতুর কাজ শুরু করে। পাশাপাশি সড়কের প্রশস্ত করণ, মাটি ভরাট এবং কার্পেটিং তুলে কাজ ও শুরু করে গত আড়াই বছর ধরে ফেলে রেখেছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে চরম গাফিলতি ও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় নওগাঁ সড়ক বিভাগ কয়েকদফা চিঠি দিয়ে সতর্ক করেন সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে।
এক পর্যায়ে সড়কটি নির্মান কাজ সম্পন্ন করার লক্ষে কার্যাদেশের সময় ও বৃদ্ধি করা হয়। বর্ধিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ না করায় প্রায় আড়াই বছর পর বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নওগাঁর সড়ক বিভাগ গত সোমবার কার্যাদেশের চুক্তি বাতিল করেন। একই সাথে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে দীর্ঘদিন যাবত কাজ না করায় সড়কের অধিকাংশ স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তই চলাচল করছে এই অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ ।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন,সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বার বার সতর্ক করার পরেও তারা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় বিভিন্ন কারণে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শুধুমাত্র রাস্তা নির্মান কাজের চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া জরিমানার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তবে এলাকা বাসির দূর্ভোগের কথা মাথায় রেখে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে দরপত্র আহবান করা হবে।