ঢাকা (সকাল ৭:৩৮) সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


অসময়ে নদী ভাঙনে বিলীন ঐতিহ্যবাহী মোল্লারহাট,দিশাহারা নদী পাড়ের মানুষ

সাজাদুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম সাজাদুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম Clock শুক্রবার রাত ১১:২৩, ৭ মে, ২০২১

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদীতে ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে।অসময়ে রোধ করা যাচ্ছেনা ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙন।অব্যাহত ভাঙন মোকাবেলা করতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন নদীর পাড়ের মানুষ।

বসন্ত ও গ্রীষ্মের সময়ে নদীর পানির স্রোত অনেক কম।তারপরও নদীর এমন ভাঙন দেখে হতবাক নদীর পাড়ের বাসিন্দারা।

এমন ভাঙন চলছে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের দুই গ্রামে। গত ২০ দিনে নদীর ব্যাপক ভাঙনে বসত ভিটা বিলীন হয়ে সব হারিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন বালাডোবা ও ক্ষুদেরকুঠি আক্কেল মাহমুদ ব্যপারী গ্রামের কয়েকশ পরিবার।এখনও অনেক পরিবার মাথা গোঁজার ঠায় পায়নি কোথাও করোনাভাইরাসের পাশাপাশি নদী ভাঙনে সব হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে ওই সব পরিবার।

সরজমিন উপজেলার প্রত্যন্ত বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ভাঙনকবলিত স্থানে গিয়ে দেখা যায়, বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার বেগমগঞ্জের মানচিত্র থেকে ঐতিহ্যবাহী মোল্লারহাট,ফসলি পাকা ধানের জমি,বসত ভিটা,মোল্লারহাট জামে মসজিদ, বালাডোবা ঈদগাহ মাঠ,বালাডোবা ইবতেদায়ি মাদরাসা,ক্ষুদেরকুঠি কাশেম বাজার জামে মসজিদসহ স্থাপনা।

নদী ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে কড্ডার বাজার,ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ ক্ষুদেরকুঠি আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়,বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, রোস্তম আলী নূরানি মাদরাসা, ব্যাপারী পাড়া ঈদগাহ মাঠসহ ফসলি জমি।

বালাডোবা গ্রামের আলম মিয়া জানান,বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন।তিনটি ঘর সরিয়ে অন্যর ভিটেমাটিতে আশ্রয় নিয়েছি।স্থায়ী ভাবে কোথায় যাবো চিন্তাভাবনা করে কূল কিনারা পাচ্ছি না।এমন বিপদের মুহুর্তে এখন পর্যন্ত কোন মেম্বার, চেয়ারম্যান সহযোগিতা করে নাই।এমন অভিযোগ করেন সালেহা,রহিমা ও সুরতন।

স্হানীয় ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল মন্ডল জানান,ঐতিহ্যবাহী মোল্লার হাট পুরোটা নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে।এই অঞ্চলের মানুষের বাজার সদাই কেনা বেচার জন্য কড্ডার বাজারকে কিভাবে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করা যায় এবং এলাকাটি ভাঙন রোধে স্হায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সভাপতি আকতার হোসেন জানান,এমন অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বেগমগঞ্জ নামক ইউনিয়ন।তিনি আরও বলেন ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারে।এ ভয়াবহ ভাঙন রোধে এখনি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন,অসময়ে নদী ভাঙনে এলাকার অনেক পরিবার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্হানীয় সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেছি। ওনারা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে ভাঙন রোধে বালাডোবা ও ক্ষুদেরকুঠি এলাকায় কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে।যা প্রয়োজনেরর তুলনায় অতি নগন্য। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করার জন্য বাজেট চেয়ে প্রস্তাব করেছি।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT