সুশিক্ষিতরাই জাতিকে আঁধার থেকে আলোর পথে নিয়ে যায় : আব্দুস সাত্তার
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার বৃহস্পতিবার বিকেল ০৪:৪৫, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি আব্দুস সাত্তার বলেছেন, এই দেশের তরুণ যুবারাই ৫ আগষ্ট আমাদেরকে আঁধার থেকে আলোকিত এক মাহেন্দ্রক্ষণ উপহার দিয়েছেন। আজকের যারা ছোট্ট শিক্ষার্থী তোমাদের কাঁধে একদিন এদেশের দায়িত্ব পড়বে। তোমরা সুশিক্ষা নিয়ে নিজের ভাগ্যের পাশাপাশি দেশেরও ভাগ্য বদলে দিতে পারবে।
বৃহস্পতিবার( ২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় দাউদকান্দি পৌরসভার আল-আমিন মডেল স্কুলের দৌলদ্দি শাখার ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দাউদকান্দি উপজেলার বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী আব্দুস সাত্তার।
তিনি আরও বলেন, তোমরা এই প্রতিষ্ঠান থেকে আজ যা শিখছো, তা শুধু নিজের কাজে লাগবে না, তা শুধু নিজকে আলোকিত করবে না। তোমাদের এই শিক্ষা নিজকে আলোকিত করার পাশাপাশি এদেশ ও এ দেশের মানুষকেও আলোকিত করবে।
আব্দুস সাত্তার বলেন, মানুষের কল্যাণ ব্যতীত কখনও অকল্যাণ কামনা করিনি। আমি এই জীবনে মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। আপনারা আমাকে আমন্ত্রিত করে ঋণী করেছেন। কখনও সুযোগ পেলে এই ঋণ শোধ করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, তোমরা পড়ালেখায় মনোযোগী হবা। মোবাইল থেকে দূরে থাকবা। আমি আজকে তোমাদের এত চমৎকার সব গুণ দেখে অভিভূত। তোমরা আগামীর দিনগুলোতে অনেক ভালো করো। সফল হও এই প্রার্থনা করছি।
এতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন— বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী।
বিদ্যালয়ের সভাপতি বিল্লাল মিয়াজীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন— বিদ্যালয়ের পরিচালক এবিএম হুমায়ুন কবির,আল-আমিন মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কামাল হোসেন প্রধান, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সিরিন সুলতানা। বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক আনিসুর রহমান, আর্থ মানবিক সংগঠন সৃজনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি ও পৌর জাসাসের আহ্বায়ক মোল্লা সোহেল।
বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—জান্নাতুল হাফসা, আলিসা আক্তার।
আরও উপস্থিত ছিলেন— পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন সরকার, সমাজসেবক সোহেল রানা,
সাংবাদিক ও সমাজকর্মী তৌফিক রুবেল রোমান মিয়াজি, সমাজসেবক হুমায়ুন কবির।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে ৫ম শ্রেণির বিদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য মিলাদ-মাহফিলের মাধ্যমে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এতে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন— হাফেজ মাওলানা মুজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন— বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক আনিসুর রহমান।