ঢাকা (ভোর ৫:১৪) শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News গৌরীপুরে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বর্ণিল বিদায় সংবর্ধনা Meghna News স্বামীর মধুময় স্মৃতি রোমন্থনে দিন কাটছে স্ত্রী মারজিনার Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান সানাউল্লাহ হলেন নির্বাচন কমিশনার Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার, আটক-১ Meghna News নাগরপুরে যদুনাথ স. প্রা. বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত Meghna News দ্রুত সুমনের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানাল পরিবার Meghna News সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেটের সম্পাদক গরম পানিতে ঝলসে গুরুতর আহত Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে খাস জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে নিহত একজন Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর আদিবাসী শিশুর মরদেহ উদ্ধার Meghna News মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় যুবক নিহত

২০৩০ সালে ঢাকা হবে দাবদাহে শীর্ষ ১০ নগরীর একটি!

জাতীয় ২১২২ বার পঠিত
তাপপ্রবাহ

মেঘনা নিউজ ডেস্ক মেঘনা নিউজ ডেস্ক Clock রবিবার সকাল ১১:২০, ১৯ মে, ২০২৪

এপ্রিল মাস ছিল দেশে গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্ক। এ মাসে সর্বোচ্চ গড় মাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। এপ্রিলের এই তাপমাত্রা গত ৭৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। দেশব্যাপী যে দীর্ঘ দাবদাহ বয়ে গেছে তাতে রাজধানীবাসীর ভোগান্তির মাত্রা ওপরের দিকেই ছিল।

ঢাকার দাবদাহ সামনের দিনে আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্টের এক গবেষণাভিত্তিক প্রতিবেদন। এতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশের রাজধানী হতে পারে বিশ্বের ষষ্ঠতম দাবদাহের নগরী।

ইকোনমিস্টের ‘রেজিলিয়েন্ট সিটিজ ইনডেক্স : এ গ্লোবাল বেঞ্চমার্ক অব আরবান রিস্ক, রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বাছাই করা দাবদাহের শিকার ২৫টি শহরের তালিকায় ছয় নম্বরে থাকবে ঢাকা।

সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত থাকবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, মিসরের কায়রো, ভারতের নয়াদিল্লি, থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। এর পরেই থাকবে বাংলাদেশের ঢাকা শহর।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজধানীতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে জলাভূমি ও খোলা জায়গা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। গাছপালা খুবই কম থাকা ও অতিমাত্রায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহারের কারণেও গ্রীষ্মে তাপের তীব্রতা বাড়ছে।

তাপ শুষে নিতে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তার ঘাটতি ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব, সবুজের অভাব, ভবনের অসম উচ্চতা ও মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সব মিলিয়ে শহুরে তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই হার পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও নগর অবকাঠামোর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ৩১ মার্চ থেকে ৪ মে পর্যন্ত সারা দেশে টানা তাপপ্রবাহ চলেছে। ১৯৪৮ সাল থেকে কখনো এত দিন টানা তাপপ্রবাহ ছিল না।

গত ২৯ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর, আদাবর ও ধানমণ্ডি সবচেয়ে উষ্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত। সব মিলিয়ে এই শহরের ৯০ শতাংশ এলাকার মানুষ দাবদাহের কারণে ঝুঁকিতে থাকে। সামনের দিনগুলোতে তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পেলে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যার পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষতির পরিমাণও বাড়তে পারে।

 

ঢাকার তাপ বাড়ছে বেশি হারে

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, গত দুই দশক ধরেই সারা বিশ্বে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে এই সময় ঢাকায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের রাজধানীতে বেশি হারে তাপমাত্রা বেড়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, শিল্পায়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। এ ছাড়া যান চলাচলসহ বিভিন্ন কারণে বায়ুদূষণ, মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ বৃদ্ধি ও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়ও তাপ বাড়ছে। এর ফলে গ্রীষ্মকাল বড় হচ্ছে, বর্ষাকাল দেরি করে আসছে। দাবদাহের কারণেই বিভিন্ন জীবাণুর বেঁচে থাকা এমনকি নতুন রূপে ফিরে আসার প্রবণতা বাড়ছে। অর্থাৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাণ-প্রকৃতিতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করছে।

অধ্যাপক কামরুজ্জমান মজুমদার ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ঢাকা শহরের প্রতিটি ফাঁকা স্থানে গাছ লাগানো এবং এসির নির্ভরতা কমিয়ে আনার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, রাজধানীসংক্রান্ত যাবতীয় জননীতি ঢেলে সাজাতে হবে।

শহুরে ‘তাপ দ্বীপের’ প্রভাবে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা গত ১০ বছরে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইউনিটের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। শহুরে তাপ দ্বীপ বলতে এমন একটি অবস্থা বোঝায়, যখন শহরাঞ্চলগুলোর তাপমাত্রা পরিবহন, শিল্পায়ন, নির্মাণকাজ ও তাপ শোষক পদার্থের ভারী ঘনত্বসহ নানা কারণে আশপাশের গ্রামীণ এলাকার তুলনায় বেশি থাকে।

রাজধানীকে দাবদাহ থেকে রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মীর খায়রুল আলম। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দাবদাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি এখন বৈশ্বিক সমস্যা। প্রাকৃতিক পরিবেশ সংকুচিত হওয়ার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব বাড়ছে। পরিবেশ ভালো করতে বেদখল হওয়া খালগুলো উদ্ধার করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় গাছ লাগানো হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নীতিগত উদ্যোগও নিচ্ছি আমরা।’




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT