ভিজিএফের চাল বিক্রির অভিযোগে পদত্যাগের ঘোষণা আ.লীগ নেতা
সাজাদুল ইসলাম বুধবার রাত ১১:৪৮, ২৮ জুন, ২০২৩
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল বিক্রির অভিযোগ তুলে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন এক নেতা। তার নাম আরিফুল ইসলাম। তিনি উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বুধবার (২৮ জুন) ভিজিএফের চাল বিক্রির অভিযোগ তুলে আরিফের একটি ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে থেতরাই ইউনিয়নে হত দরিদ্রদের জন্য প্রায় ৫ হাজার ৬০০পরিবারের জন্য ১০ কেজি করে ৫৬ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেরকে দেওয়া হয় পাঁচ মেট্রিক টন। কিন্তু তারা এসব চাল বিতরণ না করে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ তোলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম। ভিডিওতে আরিফুল বলেন, ‘আমি থেতরাই ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ঈদে ভিজিএফের চাল দলীয় নেতাকর্মীদের নামে বরাদ্দ ছিল, কিন্তু ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক একটি স্লিপও বিতরণ করেননি, সব বিক্রি করে দিয়েছেন। যে দলের নেতারা গরীবের চাল বিক্রি করে খায় সেই দল আমি করব না।’ ভিডিওতে দেখা যায় তিনি দল থেকে পদত্যাগেরও ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নয় ওয়ার্ডের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জন্য ৫০০ স্লিপ দেওয়া হয়। কিন্তু আমাকে দেওয়া হয় মাত্র পাঁচটি। তবে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও তিনি পদত্যাগ করবেন না বলেও জানান।
থেতরাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান বলেন, তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম চাহিদা মত স্লিপ না পাওয়ায় এমন অভিযোগ তুলেছেন।
এ বিষয়ে থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, বিতরণের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে ৫০০ স্লিপ (পাঁচ টন) দেওয়া হয়। শুনতেছি তারা বিতরণ না করে বিক্রি করে দিয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌল্লা বলেন, দলের নামে বরাদ্দ নেই, বরাদ্দ দেওয়া হয় পরিষদে। চেয়ারম্যান যদি কাউকে কিছু দেয় সেখানে আমাদের বলার কিছু থাকে না।
উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অনিয়ম হলে অভিযোগ করুক, তা না করে একজন প্রকৃত আওয়ামী লীগ করা ব্যক্তি কখনই দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারে না।